ইংরেজি ছাড়া তো কিছুই হবে না দেখছি!!!

Spread the love

বুয়েট পড়তে এসে আমিপ্রথম টোফেল, জিআরই এসবের কথা জানতে পারি। আমি বড় হয়েছি, বাংলাদেমের সবচেয়ে বড় গ্রাম, চট্টগ্রামে। সেখানে আমরা “খাইয়ুম গোস্ত মাইজ্জুম লাফ, গাউছল আযম মাইজভান্ডার” করেই বড় হয়েছি। বুয়েটে আসার আগে কিছু পড়ামোনা করলেও সেগুরো আউটবই-এ পরিপূর্ণ ছিল। আর বাইরে পড়তে যাবো এমন একটা চিন্তাও ছিল না। থার্ড ইয়ার ফোর্থ ইয়ার থেকে লক্ষ করলাম অনেকেই এই জিআরই, টোফেল নিয়ে ব্যস্ত। অনেক পড়ে আইইএলটিএসের কথা শুনেছি।
এখন অবশ্য ছেলেমেয়েরা এগুলো আগে থেকেই জানে। এরকম আরও ইন্টারন্যাশনাল সার্টিফিকেট যে আছে সেটাও জানতাম না। জানলাম মনে হয় এ বছরের শুরুতে। যখন জানলাম তিন বছর পর দুবাই আমাদের গাড়িচালক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
দুবাইতে আগামী বছর একটা বড় ফেস্টিভ্যাল হবে। তার জন্য প্রায় ৫ লক্ষ গাড়িচালক নেবে। এর একটা অংশ তো আমাদের হতে পারে। কিন্তু, দেখা গেল ওরা নিচে একটা শর্ত জুড়ে দিয়েছে। সেটি হলো গাড়িচালকদের অবশ্যই ইংরেজি জানতে হবে!!!
বলে কী? খোঁজ খবর নিয়ে অনেক তথ্য জানলাম। কথা বললাম দুবাই-তে, কথা বরলাম যারা টোফেল-টোফেল এসব পরীক্ষা নেয় তাদের সঙ্গে। তারপর একটা নিউজ করেছি প্রথম আলো’তে। “গাড়িচালকের কাজ পেতে জানতে হবে ইংরেজি” -শিরোনামে সেটি ছাপা হয়েছে জানুয়ারির ১৩ তারিখে। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো’র স্বপ্ন নিয়ে পাতায় মাহমুদুন নবী “চাকরি পেতে টোয়েইক” নামে কীভাবে পরীক্ষা দিতে হয় সেটা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। এর গভীরে গিয়ে যেটা টের পেলাম সেটি হলো সামনে এই ধরণের সার্টিফিকেটের গুরুত্ব আরও বাড়বে। এবং এটি ক্রমাগত নিচের দিকেও নামবে। ট্যাক্সিচালানোর জন্য যখন ইংরেজি পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়েছে তখন আর কিসে বাকী থাকবে।
দেশেও অনেক প্রতিষ্ঠানে এখন ইংরেজি জানা লোকের দরকার হয়। এ জন্য আবেদন দেখে বাছাই করা, ইন্টারভিউ নেওয়া এসবের পিছনে কোম্পানিগুলোর অনেক পরিশ্রম থাকে। সেজন্য অনেকেই বাদ পড়ে যায়। এখানে এই পরীক্ষাটা হয়তো কাজে লাগতে পারে। কারণ যদি আবেদন করার আগেই বোঝা যায় যে এই স্কোর নিয়ে আমাকে অগমেডিক্সে ডাকবে না তাহলে আর আবেদনও করতে হবে না। অন্যদিকে নিয়োগকর্তাও বুঝতে পারবেন কাদেরকে ডাকলে ভাল হবে এবং কারা আসলে তাদের জন্য যোগ্য।
এরকম একটা চিন্তা থেকে একটা পাইলট করার চিন্তা করেছি। চেষ্টা করবো পাইলটের ৫০ জনের যেন টোয়েইক পরীক্ষা দিতে কোন ফী না লাগে। আশা করি, ইটিএস রাজী হবে। এছাড়া কাজী আইটি সেন্টার, অগমেডিক্স ও অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করবো তারা যেন এই ৫০ জনকে তাদের ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাকে। তারুণ্যের জয়োৎসবে টোয়েইক, ব্রিটিশ কাউন্সিল ইত্যাদির স্টল থাকবে।

প্রশ্ন হচ্ছে এই ৫০ জনকে আমরা কীভাবে পাবো?
এটা ভাবছি।

One Reply to “ইংরেজি ছাড়া তো কিছুই হবে না দেখছি!!!”

Leave a Reply