এলন মাস্কের বহনযোগ্য বাড়ি ও বিলিয়ন ডলার প্রশ্ন

Spread the love

এলন মাস্ককে যারা ফলো করেন তারা জানেন তার প্রতিটি টুইটই ব্যাপক সাড়া জাগায়। কমবেশি এক লক্ষ লাইক-শেয়ার-কমেন্ট থাকে। কিন্তু গত ৯ জুন তার একটি টুইট বেশিরভাগ লোকেরই অগোচরে থেকে যায়। সেটাতে তিনি খুব শাদামাটা একটা বিষয় উল্লেখ করেন। টুইটারে তিনি লিখেন –My primary home is literally a ~$50k house in Boca Chica / Starbase that I rent from SpaceX. It’s kinda awesome though.Only house I own is the events house in the Bay Area. If I sold it, the house would see less use, unless bought by a big family, which might happen some day.

নিজের ৫টি বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার কথা তিনি অনেক আগেই বলেছেন। তার ৫টির মধ্যে চারটি বাড়িই এর আগে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন ৪ কোটি ডলারে। সেই হিসেবে তিনি থাকার জন্য বাড়ি খুঁজবেন এটিই স্বাভাবিক।

বহনযোগ্য বাড়ি বানানোর অশ্রুত একটি স্টার্টআপ বক্সেবল গত নভেম্বরে ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেখানে বক্সেবলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা গ্যালিয়ানো তিরামনি বহনযোগ্য বাড়িটির বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করেন। মাত্র ৩৮০ বর্গফুটের এই বাড়িতে রয়েছে একটি কক্ষ, রান্নাঘর ও টয়লেট। ভিডিওতে দেখা গেছে ট্রাকে করে নিয়ে গিয়ে এটি বসানো হয়েছে টেক্সাসের স্পেসএক্সের মালিকানায় বোকা চিকা গ্রামের একটি জায়গায়।

যদিও ভিডিওতে তিরামনি তাদের কাস্টোমারের নাম বলেনি কিন্তু ভিডিওতে তিরামনির পেছনে ফ্যালকন এক্সের পোস্টার, বোকা চিকার উল্লেখ ইত্যাদি থেকে এই কাস্টোমার কে তা অনুমান করার জন্য শার্লক হোমস হতে হয় না। এর পর মে মাসে মাস্কের টুইট “Prototypes are easy, production is hard”। টুইটটি তিরামনি রিটুইট করেছেন।

মাস্কের নতুন বাড়ি নিয়ে সবার আগ্রহের কেন্দ্রে সবার আগ্রহ হলো সেটি কেমন। জুন মাসের ৯ তারিখের ঐ টুইট এখন আবার সামনে এসেছে। গতকাল দৈনিক প্রথম আলো’র অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তবে বুদ্ধিমান ও মাস্কের নানা কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখা লোকেরা এটি কেবল তার বাসা বাড়ি বা হাইডআউট হিসেবে ভাবার কথা না। “ডাল মে কুছ কালা হ্যায়” নিয়েই একটু তলিয়ে দেখা যেতে পারে।

এলন মাস্কের  সাম্প্রতিক বছরগুলোর কাজ কারবার দেখুন। টেসলার কিন্তু কোন চিফ মার্কেটিং অফিসার বা কোন পেইড মার্কেটিং নেই। তারপরgx গত দেড় বছরে টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫০০%! এর মধ্যে উল্টাপাল্টা টুইটের জন্য মাস্ক একাধিকবার জরিমানাও গুণেছেন। তার আপাত নিরীহ অনেক টুইট ডজকয়েন আর বিটকয়েনের বাজারে ভূমিকম্পও সৃষ্টি করেছে। নিজের গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন মহাকাশে, মঙ্গলের পানে। সেটির অবস্থান আবার এখানে বসে হিসাবও করা যায়।

সেই লোক বছর খানেক ধরে একটি বিষয় যা তিনি খোলাসা করে বলছেন না তাই নিয়ে মাঝে মধ্যে বলে যাচ্ছেন। কোন পরিকল্পনা ছাড়াই?

একা বা অন্যদের সঙ্গে এ পর্যন্ত ৯টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এই দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া বিশ্বের দ্বিতীয় ধনকুবের আগের কাজের সঙ্গে এটিকে মিলান। তাহলে আমার মতো আপনারও মনে হতে পারে এটি কেবল কোন হাইড হাউসের ব্যাপার নয়।
খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে দেখলাম মাস্ককে নিয়ে লেখালেখি করেন এমন লেখক বিল মার্ফিও ঠিক এভাবে চিন্তা করেছেন। তিনি নিচের তিনটি বিষয়ে মনোযোগ দিতে বলেছেন তার পাঠকদের –

  • বিলের পাঠক কিংবা আমার এই লেখা যারা পড়ছেন তাদের মধ্যে কেউ জীবদ্দশায় মহাকাশে যাওয়ার কথা ভাবছেন বলে মনে হয় না। মহাকাশ ভ্রমণ এখনও নিকট ভবিষ্যতের কোন সাধারণ বিষয় নয়,
  • বিশ্বজুড়ে প্রতি ৭.৮ জনের জন্য একটি গাড়ি তৈরি হয়। এর মানে কিন্তু এই নয় যে, ১৩% লোকের গাড়ি আছে।
  • কিন্তু বিশ্বের সব মানুষের থাকার জন্য বাড়ি দরকার। এখনকার সব বাড়িই কিন্তু একইভাবে অনসাইটে তৈরি করা। একটা একটা করে।

এখন আপনি ভাবেন, গণ উৎপাদনের মাধ্যমে যদি বাড়ি বানানো সম্ভব হয় তাহলে সেটি কত্তো কত্তো লোকের সমস্যার সমাধান করবে। গণ উৎপাদন শুরু হলে এবং সেরকম প্ল্যান্ট বাংলাদেশের মতো দেশে স্থাপন হলে ঐ ব্যবসাটা কতো বড় হবে!!!

এবার আপনি আপনার প্রশ্নের জবাব খুঁজেন। আমি বরং মাস্কের নতুন টুইটের খবর নেই।

[আমার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউব বা ফেসবুকে]

 

 

 

Leave a Reply