চাই উদ্ভাবক, চাই বিজ্ঞানী

Spread the love

নতুন এক বিপ্লবের ডাক দিয়ে ২০ বছর আগে বিশ্ব নতুন সহস্রাব্দে প্রবেশ করেছে। এই বিপ্লব আমাদের নানা কাজকর্ম তো বটে এমনকী পাল্টে দিচ্ছে আমাদের চিন্তাধারাকে। এই বিপ্লবের পোষাকী নাম চতুর্থ শিল্পবিপ্লব – Fourth Industrial Revolution। তথ্যপ্রযুক্তি, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন তথা জ্ঞান বিজ্ঞানের নানা শাখা এখন পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করে তৈরি করছে নতুন নতুন পণ্য, প্রযুক্তি ও সেবা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির স্মরণকালের সর্বোচ্চ বিকাশ আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামরীকালেও আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ ও প্রয়োগের ব্যপ্তি দেখতে পাচ্ছি। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হরো করোনা ভাইরাসের টিকা আবিস্কার। সব সময় আমরা জেনেছি, টিকা আবিস্কারের জন্য ৫-৮ বছর সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এবারই বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা সেটি মাত্র নয় মাসে সম্পন্ন করতে পেরেছেন। এর মূলে রয়েছে ডিএনএ সিকোয়েন্সিং, আরএনএ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ, কম্পিউটার সিমুলেশন করে মানবদেহে এর প্রয়োগের প্রভাব নিয়ে ওয়াকিবহাল হতে পারা। অন্যদিকে, মহামারীকালে বিশ্বের অনেক দেশই অনলাইনে কেবল নিজেদের অফিস আদালতই চালু রাখেনি, বরং শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে মানুষের মনোজগতেও।

এরকম দিনে  বিশ্বে বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদের চাহিদা বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। ২০২০-২১ সালের মাঝামাঝিতে উন্নত বিশ্বে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের (STEM – Science, Technology, Engineering and Mathematics) স্নাতকদের কাজের সুযোগ আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি বেড়েছে। বিশ্বের দেশগুলো তাই নেমে পড়েছে তাদের নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক হিসেবে গড়ে তুলতে। একই লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকারও সামনের দিনগুলোর জন্য শিক্ষা কার্যক্রমকে সাজানোর কাজ শুরু করেছে।

কিন্তু শুধু পাঠ্যসূচী কি বিজ্ঞানী বা উদ্ভাবক তৈরি করতে পারে?

উত্তর হলো না

আমাদের মতো দেশে অনেকেরই একটি ভুল ধারণা হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সেরা আবিস্কার ও উদ্ভাবনগুলো পশ্চিম বা পূর্বের উন্নত দেশগুলোতে হয়। কারণ তাদের রয়েছে অনেক বেশি উন্নত পরীক্ষাগার ও গবেষণার সুযোগ। সেই সঙ্গে আমাদের পাঠ্যপুস্তকেও রয়েছে সেসব দেশের বিজ্ঞানীদের জীবনী। কিন্তু বিজ্ঞান গবেষণায় আমাদেরও যে রয়েছে ঐতিহ্য এবং স্বীকৃতি তা আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে সেভাবে দৃশ্যমান নয়।

বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনের প্রতি শিশু-কিশোরদের উৎসবহী করে তোলার সার্বজনীন কয়েকটি পথ-নির্দেশিকা হলো –

  • নিজেদের বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকদের জীবন ও কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা, বিশেষ করে  সময়কে অতিক্রম করে তারা কীভাবে বিশ্বে নিজেদের স্থান করে নিয়েছেন,
  • শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে বিজ্ঞানের নানা তত্ত্ব ও বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করার জন্য অনুপ্রাণিত করা, কেবল নির্দিষ্ট ব্যবহারিক পাঠ্যসূচী নয় বরং শ্রেণিকক্ষসহ নিজ নিজ গৃহেও যেন তারা অনুসন্ধিৎসু কার্যক্রম চালাতে পারে তার পরিবেশ গড়ে তোলা
  • পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বিজ্ঞানের বই তাদের কাছে সুলভে পৌছে দেওয়া, এবং
  • শিশু-কিশোরদের মধ্যে যারা বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চায় তাদের জন্য বিজ্ঞান ক্লাব, বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান কংগ্রেস প্রভৃতি আয়োজন করা।

এর প্রথম উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতি রেখেই আসলে ওরা ১১ বাংলার বিজ্ঞানী পুস্তকের লেখাগুলো আমি লিখতে শুরু করি বেশ কয়েক বছর আগে। গণিত ও সায়েন্স অলিম্পিয়াড এবং শিশুকিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেসের কার্যক্রম নিয়ে আমি প্রায় সারাদেশে ঘুরে বেড়িয়েছি। দেখেছি আমাদের শিশু কিশোরদের কাছে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সত্যেন বসু, আজিজুল হক, মাকসুদুল আলম বা জাহিদ হাসান মোটেই পরিচিত নাম নয়। এই দেশের আবহাওয়ায় গড়ে ওঠা বড় মাপের বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে তারা জানে কম বা জানেই না।

অথচ উদ্ভিদের জীবন সম্পর্কে মানুষের জানা থাকলেও সে জীবন যে সাড়া দিতে পারে সে খবর জানার জন্য বিশ্ববাসীকে বিক্রমপুরের জগদীশ চন্দ্র বসুর জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। মহাবিশ্বের তাবৎ বস্তুকণাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে যার একভাগের নাম হলো বোসন বা বসু কণা। আর এই বসুকণার বিজ্ঞানী হলেন সত্যেন্দ্র নাথ বসু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়ানোর সময় তিনি এই সকল বস্তুকণার বৈশিষ্ট্যকে গাণিতিকভাবে প্রকাশ করেছেন। এই পরিসংখ্যানটির পোষাকী নাম বোস-আইনস্টাইন সংখ্যায়ন, আইনস্টাইন-বোস সংখ্যায়ন নয়। ব্রিটিশের উপনিবেশ থাকার কারণে আমাদের অনেক বিজ্ঞানী সময়মতো তার কাজের স্বীকৃতি ও উৎসাহ পাননি। ১৮৯৪ সালে বিনা তারে বার্তা প্রেরণের একটি পদ্ধতির সফল প্রয়োগ দেখিয়েছিলেন স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। কিন্তু উৎসাহ না পেয়ে তার সেই কাজটি তিনি আর আগাননি। যদি স্বীকৃতি আর উৎসাহ পেতেন তাহলে ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারটি হয়তো তিনিই পেতেন। কারণ বেতার আবিস্কারের জন্য সেটি পেয়েছেন ইতালীর মার্কনী। ১৯৯৮ সালে তড়িৎ প্রকৌশলীদের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংগঠন আইইইই জগদীশ বসুকে বেতারের আবিস্কারক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সত্যেন বসুর আবিস্কৃত সংখ্যায়নের পথ ধরে “ঈশ্বর কণা” আবিস্কার করে এখন বিজ্ঞানীরা নোবেল পুরস্কার পান।

আঙ্গুলের হাতের ছাপের শ্রেণিকরণ করে অপরাধী শণাক্ত শরার পদ্ধতিটি “হেনরির পদ্ধতি” নামে পরিচিত হলেও এখন বিশ্ববাসী স্বীকার করে নিয়েছে এর গাণিতিক রূপটির আসল আবিস্কারক  খুলনার পয়গ্রাম কসবার সন্তান খান বাহাদুর  আজিজুল হক এবং এর টেলিগ্রাফিক কোডটি তৈরি হয়েছে আর এক বাঙ্গালি হেম চন্দ্র বসুর হাত ধরে।

আজকাল আমরা সহজে কোন জীবকোষের ডিএনএ নকশা বের করে ফেলতে পারি। কিন্তু এক দশক আগেও কাজটি কিন্ত সহজ ছিল না। সে সময়ে হাওয়ায় দ্বীপপুঞ্জের পেপে, মালয়েশিয়ার রাবার বা আমাদের পাটের জিন নকশা উন্মোচনের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন ফরিদপুরের সন্তান মাকসুদুল আলম। ৮৬ বছর ধরে যে ফার্মিয়ন কণা অধরা ছিল সকল বিজ্ঞানীর কাছে, সেটি ধরা দিয়েছে গাজীপুরের বিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের হাতে!

আজ আমরা অনেকে কথায় কথায় আমেরিকার সিলিকন ভ্যালির উদাহরণ দেই। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়ে উদ্ভাবন, ব্যবসা আইডিয়া এবং ট্রান্সফর্মেশনের এক চমৎকার আয়োজন হয় এই ছোট্ট উপত্যকায়। সিলিকন ভ্যালির এই উত্থান ও বিকাশের পেছনে অবদান অনেক কিছুর। তবে, সবচেয়ে বড় উপাদান হলো স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির। সেখানেই প্রথম আমেরিকান প্রফেসররা কোম্পানি বানাতে আসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে নিয়ে যান বাজারে, তৈরি হয় পণ্য। বিক্রির টাকা দেওয়া হয় ভার্সিটিকে যাতে তারা নতুন পণ্য উদ্ভাবন করতে পারে। অথচ কী আশ্চর্য সিলিকন ভ্যালির উত্থানের অন্তত কয়েক দশক আগেই এই কাজটা শুরু করেছিলেন এক বাঙ্গালি বিজ্ঞানি। তিনি দেখলেন তাঁর আবিস্কারের সবচেয়ে ভালো প্রয়োগ হতে পারে বাণিজ্যে, কারণ তাতে এটি সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌছাতে পারবে, নিদেন পক্ষে দেশের মানুষের কাছে। শুধু তাই নয়, তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা সেসব পণ্যকে আরও বিকশিত করতে পারবে। কাজেই ঐ বিজ্ঞানী হয়ে গেলেন উদ্যোক্তা। কলেজে তার ল্যাব এবং থাকার ঘর দুইটিই হয়ে গেল আরএন্ডডি সেন্টার। তিনি নিজে সারাদিন শিক্ষার্থীদের পড়ান আর সন্ধ্যার পর করেন বাণিজ্যিক গবেষণা। আর এভাবে এখনকার খুলনা পাইকগাছার জমিদার পুত্র আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (যিনি পি সি রায় নামে পরিচিত)-এর হাতে জন্ম হয় “বেঙ্গল কেমিক্যাল ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির”। এটি বাংলার কোন উদ্যোক্তার প্রথম পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিও বটে !!!

আবার জামাল নজরুল ইসলাম বা এম ওয়াজেদ মিয়ার মতো বিজ্ঞানীরা কেবল গবেষণা করে ক্ষান্ত হোননি। দুহাতে লিখেছেন যাতে নতুন প্রজন্মের কাছে তারা এই আলোক বর্তিকা দিয়ে যেতে পারেন। এম ওয়াজেদ মিয়ার লেখা বই তড়িৎ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় বিশ্বজুড়ে। আমি যখন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যারয়ে পড়তাম তখন তার বই আমি পড়েছি। জামাল নজরুল ইসলামের গবেষণার ফলাফল পড়ানো হয় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিশ্বের নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

২.

আবার অনেকের ধারণা গবেষণার জন্য ল্যাবরেটিরী বানানোটা কঠিন। কিছুটা সত্য বটে তবে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর সোজাসাপ্টা উত্তর হলো, “সত্যিকারের বিজ্ঞানী নিজের ল্যাবরেটরী নিজেই বানিয়ে নেয়”। যেমনটি তিনি নিজেই গড়েছেন। আচার্য  প্রফুল্ল চন্দ্র রায় যখন বাজারের ঘি ও তেলের ভেজাল নির্নয়ের কাজ শুরু করেন তখন তিনি নিজেই গোয়ালার সামনে দাড়িয়ে দোহন করা দুধ নিজ ল্যাবরেটরীতে নিয়ে এসে ঘি তৈরি করতেন। তারপর সেটির রাসায়নিক বিশ্লেষনের সঙ্গে বাজারের ঘি’এর বিশ্লেষনের তুলনা করে ভেজাল নির্নয়ের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। শরিয়তপুরের প্রকৃতি বিজ্ঞানী গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্যের ল্যাবরেটরীতো ছিল তার আশেপাশের প্রকৃতি। দিনের পর দিন পিপড়ার কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে তিনি পিপড়া জাতীয় প্রাণির সকল বৈশিষ্ট্য লিপিবদ্ধ করতে পেরেছেন। এসব বিজ্ঞানীদের তুলনায় এখন বিজ্ঞান গবেষণায় রয়েছে নানাবিধ সুযোগ। ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যানে দেশের প্রায় সব স্থানেই রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। দেশের প্রায় ১০ হাজার বিদ্যালয়ে রয়েছে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব। সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যোগ্য বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্যও অনুদান প্রদান করে থাকে। কাজে এখন সুযোগ বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। খুদে বিজ্ঞানীদের জন্য রয়েছে সরকারি বেসরকারি বিজ্ঞানমেলা, রয়েছে শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেস। শিশু কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেসে খুদে বিজ্ঞানীরা তাদের বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ, পোস্টার বা প্রকল্প তুলে ধরতে পারে। গণিত অলিম্পিয়াড, পদার্থ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে বিশ্বের প্রথমসারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নের সুযোগ ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ২০১৮ সালে মাত্র ৮ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে স্বর্ণ পদক জয়ের দৃষ্টান্তও আমাদের শিক্ষার্থীরা এখন তৈরি করেছে।
কাজে বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক তৈরি করার এখনই শ্রেষ্ঠ সময়। শুধু দরকার তাদের সামনে আমাদের বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীর জীবন ও কর্ম তুলে ধরা।

৩.

এই বইতে মোট ১১ জন বিজ্ঞানীর জীবন ও কর্ম তুলে ধরা হয়েছে। আচার্য স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু, আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায়,কাজি আজিজুল হক, গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, অমর গোপাল বসু, জামাল নজরুল ইসলাম, ড. এম ওয়াজেদ মিয়া, মাকসুদুল আলম, জাহিদ হাসান প্রমূখ বিজ্ঞানীদের জন্মসাল অনুসারে সূচীপত্রে ক্রমটি সাজানো হয়েছে। এই বইটি লেখার সময় আমি নানা উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। একটি মাত্র উৎস থেকে সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। বিজ্ঞানীদের কাজ ও অবদানকেই এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সেজন্য তাদের পারিবারিক তথ্য সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

এই লেখাগুলোর বেশ কয়েকটি ছাপা হয়েছে কথাসাহিত্যিক ও প্রকৌশলী আনিসুল হক সম্পাদিত কিশোর ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলো’তে। এটিকে বই করার তাগিদও তার বেশি ছিল। বই হাতে পেয়ে তাই তিনি তার প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন।

এছাড়া কয়েকটি ছাপা হয়েছে অন্যত্র। ছাপা হওয়ার পর অনেকেই এগুলোকে একত্রিত করে একটি বই করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই বইটি প্রকাশে এর প্রকাশক নাজিব রাফি এবং আমার সহকর্মী রওনক বোরহান হিমেলের তাগিদ ও সহায়তা বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য।

আশাকরি, আগামী দিনের বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক তৈরিতে এই বইটি কিছুটা হলেও অবদান রাখবে।

[আমার নতুন বই ওরা ১১ বাংলার বিজ্ঞানী -এর মুখবন্ধ হিসেবে প্রকাশিত]

 

[আমার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউব বা ফেসবুকে]

Leave a Reply