জেফ বেজোস ও তাঁর লং-টার্ম গ্রোথ

Spread the love

৫ জুলাই, ২০২১ এমন কোন বিশেষ দিন ছিল না। সে জন্য হয়তো কোথাও তেমন কিছু হয়নি। তবে, যারা বিশ্বের বিলিওনিয়ার, আইটি জগত, মহাকাশ ইত্যাদির প্রতি নজর রাখেন তারা হয়তো দিনটিকে বিশেষভাবে লক্ষ করেছেন। কারণ আজ থেকে ২৭ বছর আগের এই দিনে আমেরিকায়  অ্যামাজন নামে একটি ই-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনকরপোরেট করা হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস নামের ৩০ বছর বয়সী এক তরুণ। এর দিন দশেক পর, ১৬ জুলাই, একই নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করেন। ওয়েবসাইটে দাবী করা হয় এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বই-এর দোকান। ঠিক ঐদিনের কোন স্ত্রীন শট পেলাম না। মাস খানেক পরের অ্যামাজনের হোম পেইজের একটা ছবি দিলাম।

প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পর এই সোমবার বেজোস তার শীর্ষ নির্বাহীর পদ ছেড়ে দিয়েছেন তার অন্যতম সহকর্মী এন্ডি জেসীর হাতে। এন্ডি এতোদিন অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সিইও ছিলেন। ২৭ বছর ধরে জেফ বেজোস সব সময় লং-টার্ম বেনিফিটের দিকে চোখ রেখেছেন। দীর্ঘদিন অ্যামাজন কোন লাভের মুখ দেখে নাই। কিন্তু সেটা নিয়ে জেফ খুব একটা চিন্তিত হয়েছেন বলে মনে হয় না। কারণ তিনি দূরের সাফল্য দেখতে পেয়েছেন।

কয়েক মাস আগে তিনি শীর্ষ নির্বাহীর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণাতে অ্যামাজনের কর্মীদের “নিজে যত কনজিউম করবে তার চেয়ে বেশি উৎপাদন” করার আহবান জানান। অ্যামাজন জেফকে বিশ্বের সেরা ধনীতে পরিণত করেছে। সব সময় তিনি লং-টার্ম গ্রোথের দিকে নজর দিয়েছেন। কোন কিছুতে তাড়াহুড়া করেছেন বলে কেউ মনে করতে পারছে না।

অ্যামাজন এখন ১.৭৭ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি। শুরু থেকে মুনাফার সবটুকু ফের বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। আর এখানে জোর দিয়েছেন উদ্ভাবনের ওপর। বেজোস মনে করেন অ্যামাজনের সাফল্যের মুল মন্ত্র হলো – ইনোভেশন। মুনাফা ফের বিনিয়োগ করতে করতে তিনি অ্যামাজনের মূল ই-কমার্স ব্যবসার পাশাপাশি ওয়েব সার্ভিস, ডিজিটাল মিডিয়াতে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। তারপর যখন মুনাফার অনেক বৃদ্ধি হয়েছে তখন থেকে মুনাফা বিতরণ শুরু করেছেন।

স্ট্যাটিসটিকার এই চার্টটি সম্ভবত সব কথা একবারেই বলে দিচ্ছে।

জেফ বেজোসের সাফল্যের কারণগুলো বিশ্লেষন করলে নতুন উদ্যোক্তারা নিজের সাফল্যের জন্য অনেক রসদ সংগ্রহ করতে পারবেন।

 

[আমার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউব বা ফেসবুকে]

 

Leave a Reply