বিলিয়ন ডলারে কাস্টোমারকে কিনে নিল ফেসবুক

Spread the love

আজ আমার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটা আড্ডা সেট করা ছিল। যেতে যেত পথে ফোন খুলে খবরটা দেখেছি। প্রথমে কাস্টোমার অর্থে গ্রাহক বুঝে একটু খটকা লাগলেও সঙ্গে সঙ্গে বুঝেছি এই কাস্টোমার হচ্ছে Kastomer মানে নাম। ২০১৫ সালে নিউইয়র্কে এই স্টার্টআপটার জন্ম। এর আগে তারা ১৭৩.৫ মিরিয়ন ডলার রেইজ করেছে। তার মানে সবার নজরে ছিল। কিন্তু ফেসবুক এটা কিনতে পারে এটা ভাবার লোক কমই ছিল। কারণ এর আগে ফেসবুক যা কেনাকাটা করেছে সেগুলো হয় তাদের ফিচার উন্নয়নের ভিত্তি হিসাবে কাজ করছে কিংবা হোয়াটএপ বা ইনস্ট্যাগ্রামের মতো এক্সটেনশন হয়েছে। কাস্টোমার হলেো একটা সিআরএম বানানোর কোম্পানি। তারা কীভাবে ফেসবুকে ফিট করলো।
ফেসবুকের ব্লগে এই নিয়ে একটা লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ফেবুর এড এন্ড বিজনেস প্রোডাক্টের ভিপি ড্যান লেঅী ও হোয়াটসএপের সিওও ম্যাট ইডিমার লেখা। সেখানে কিছু ভবিষ্যতের কথা বলা হয়েছে। তারা লিখেছেন – ফোন বাজলেই ব্যবসায়ীকে পোনটা ধরতে হয় কারণ প্রতিটা কলই সম্ভাবনা। কিন্তু এখন ব্যবসা কিন্তু সরে যাচ্ছে ডিজিটাল বাস্তবতায়। ফোনের সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হোয়াটস এপ আর মেসেঞ্জার। ব্যবসায়ীরা কিন্তু প্রতি মুহুর্তে ফেসবুকের এই দুই মাধ্যমে কানেক্টেড। ফেসবুক এই পরিবর্তনটা লক্ষ করছে। প্রতিদিন ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ লোক হোয়াটএপের মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক যোগাযোগ রক্ষা করছেন। সংখ্যাটা বেড়ে যাচ্ছে কারণ মেসেঞ্জারের মাধ্যমে টেলিফোনের চেয়ে ভালভাবে কাস্টোমার সামলানো সম্ভব। এই কারণে হোয়াটসএপ ও মেসেঞ্জারে নিয়মিত এপিআই প্রকাশ করা হচ্ছে। তাতে “পার্টনাররা আরও বেশি ইন্টিগ্রেশনের সুযোগ পাচ্ছে”।

ঠিক এখানেই কাস্টোমারকে লাগবে বলে মনে করছে ফোসবুক। কারণ কাস্টোমারের রয়েছে মাল্টিচ্যানেলের জন্য একটি সিংগেল ড্যাশবুক সুবিধা। এতে ব্যবসার পৌন: পৌন: কাজকে স্বয়ংক্রিয় করার ব্যাপারটা সামনে আসে এবং তা বাস্তবায়নযোগ্য হয়। কাস্টোমবরের সিআরএম আমি ব্যবহার করি নাই এমনকি এ সংক্রান্ত তেমন একটা পড়িও নাই। কাজে ডিটেইলে আমি যাচ্ছি না। আমি শুধু অবাক হয়ে দেখছি মাত্র ৫ বছরে একটা বিলয়ন ডলার কোম্পানি বানানো যায় যারা সেই অর্থে নতুন কোন হাতি-ঘোড়া বানায় না।

 

 

 

Leave a Reply