ডেলিভারিং হ্যাপিনেস – দ্বিতীয় খন্ড- পর্ব ৪: কিলিমানজারোর তুষার

Spread the love

ডেলিভারিং হ্যাপিনেস – দ্বিতীয় খন্ড- পর্ব ৩: মজুত নিয়ে খেলাধুলা

আমি আর জেন যেদিন কিলিমানজারো পাহাড়ে হাইকিং শুরু করলাম সেদিন সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় ২৪ ঘন্টা ধরে এয়ারপোর্ট থেকে এয়ারপোর্ট হয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত তানজানিয়ায় পৌঁছেছি। তারপর একদিন বিশ্রাম নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি পর্বতের পাদদেশে, যেখানে আমাদের গাইড ও অন্যরা আমাদের অপেক্ষায় ছিল।

যদিও আমি পৃথিবীর অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে তানজানিয়ায় এসেছি কিন্তু আমার মাথায় জাপ্পোস ঠিকই থেকে গেল। আমি তো জানি, বাড়িতে, জাপ্পোসের আকাশে শকুনেরা উড়ছে আর তীক্ষ্ণ চোখে নজর রাখছে কখন জাপ্পোস মারা যাবে। আমরা ভালো করেছি এবং অনেকদূর এগিয়েছি। কিন্তু ক্যাশ-ফ্লোর ব্যাপারটা সামলাতে পারেনি। এ জন্য তা, করোনা ভাইরাসের মতো আমাদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। আগে থেকে যদি আমরা ব্যাপারটা বুঝতে পারতাম তাহলে হয়তোবা অন্য কিছু হতে পারতো। কিন্তু এখন পুরো কোম্পানির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ঠিক সময়ে আমার পার্টি লফটটা বিক্রি হবে কিনা তার ওপর!
যদি শেষ পর্যন্ত পার্টি লফটটা বিক্রি নাও হয়, আমি ঠিক করেছি, আমি শান্তভাবে সবকিছু মেনে নেবো। এটি সব সময় চ্যালেঞ্জিং ছিল। তার মোকাবেলায় আনন্দ আর মজা দুটোই আমরা পেয়েছি। এ ছিল সত্যিকারের একটা এডভেঞ্চার। আমি মেন্টালি ও ইমোশনালি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। যারা এই ক’বছর আমার সঙ্গে আছে তাদের কথাও ভেবেছি।

কিলিমানজারোর চূড়ার পথে আমাদের প্রথম দিন ছিল ঘন বনের ভিতর দিয়ে যাওয়া। শুরুতে গরম থাকলেও দিন শেষে তাপমাত্রা কমে গেল। বৃষ্টিতে ভিঁজে আমার একটু কাঁপুনিও এসে গেল।

আমি শারিরীকভাবে ভয়ানক ক্লান্ত হলেও রাতে আমার মোটেই ঘুম আসলো না। আমি তন্দ্রামতো একটা ঘোরের মধ্যেই কাটাতে লাগালাম। সেই ঘোরের মধ্যে আমি স্বপ্ন দেখলাম আমার মোবাইল ফোন বাজছে। আমার ধাররণা ছিল আমরা মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক থেকে বের হয়ে এসেছি। কিন্তু, একটু খেয়াল করে বুঝলাম, আমার ফোনই বাজে। যদিও তখ মধ্যরাত।

আমার বাড়ি বিক্রির এজেন্ট ফোন করেছে। সে জানালো আমি যে দামে বেচতে চেয়েছি তারচেয়ে বেশি দামে একজন খদ্দের পাওয়া গেছে। সে আমার লফট কিনতে চায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। আর এটা বলার পরপরই আমার সব টেনশন চলে গেল। জাপ্পোস বেঁচে গেল!

তাৎক্ষণিকভাবে পাহাড়ে ওঠার ব্যাপারটা আমার কাছে আর চ্যালেঞ্জিং মনে হল না। আমি শান্তিতে পরের কয়েকঘন্টা ঘুমিয়ে নিলাম।

 

পরের পর্ব –ডেলিভারিং হ্যাপিনেস – দ্বিতীয় খন্ড- পর্ব ৫: নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ

[জাপ্পোসের সিইও টনি সেই-এর বিখ্যাত বই ও দর্শন সুখ বিতরণের কিছু অংশ আমি অনুবাদ করছি আমার মত করে, আমাদের উদ্যোক্তাদের জন্য। এটি আক্ষরিক অনুবাদ নয়]

One Reply to “ডেলিভারিং হ্যাপিনেস – দ্বিতীয় খন্ড- পর্ব ৪: কিলিমানজারোর তুষার”

Leave a Reply