তিতলী, এলন মাস্ক কি পারবেন?

Spread the love

বুধবার আমেরিকার রাজধানীতে ট্রাম্পের সমর্থকরা যখন উন্মত্ত কাণ্ড করেছে তখন নিরবে শেয়ার বাজারে ঘটেছে একটা বড় ঘটনা। টেসলা ও স্পেসএক্স খ্যাত উদ্যোক্তা এলন মাস্ক বিশ্বের এক নম্বর ধনী হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন। এখন বিশ্বের এক নম্বর ধনী অ্যামাজনের শীর্ষ নির্বাহী জেফ বেজোসের সঙ্গে তার সম্পদের পার্থক্য মাত্র ৩ বিলিয়ন ডলার।  এই টুকু সম্পদ জোগাড় হলেই এলন মাস্ক হয়ে যাবেন বিশ্বের এক নম্বর ধনী!

বুধবার (৬ জানুয়ারি) টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ২.৮%। এতে তার সম্পদ এখন হল ১৮১.১ বিলিয়ন ডলার। বেজোস থেকে মাত্র ৩ বিলিয়ন কম। বেজোস ২০১৭ সালের অক্টোবরে বিল গেটসকে হঠিয়ে ঐ স্থানে উঠে এসেছেন। তারপর থেকে তার অগ্রগতি ছিল অপ্রতিরোধ্য।

২০২০ সালে বিশ্বের অন্যান্য ধনকুবেরদের মতো এলন মাস্কের সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ, ১৫০ বিলিয়ন ডলার। ১৫০ বিলিয়ন ডলার মানে কতো টাকা? ঐ টাকা দিয়ে ৩৮টি পদ্মা ব্রিজ বানানো সম্ভব।

মাস্কের বড় লোকীর বড় কারণ টেসলা। সেটলার শেয়ারের দাম ২০২০ সালে বেড়েছে ৭৪৩%!!! এরকম দাম বাড়ার ঘটনা এর আগে কখনো লক্ষ করা যায়নি। মাস্ক কিন্তু টেসলার একক মালিক নন। ওনার শেয়ার মাত্র ২০%। টেসলার ভ্যালুয়েশেনের এই কারবারে কিন্তু আশেপাশে নেই কোন কার কোম্পানি। এছাড়া পুরো কর্মকাণ্ডে টেসলা কিন্তু মার্কেটিং-এ কোন খরচই করে না।

বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনী ২০২০ সালে তাদের সম্পদ বাড়িয়েছেন মাত্র ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে শীর্ষ ৫ জনেরই ১০০ বিলিয়ন করে বেড়েছে। নতুন বছরে মাত্র ৬ দিন গেল। এর মধ্যে মাস্কের এই উত্থান হয়তো অনেক কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে।

শেষ পর্যন্ত মাস্ক শীর্ষ ধনী হতে পারবেন তো!

তিতলী কী বলে?

 

Leave a Reply