২১ কোটি টাকার টুইট?

Spread the love

আমরা অনেকেই ফেসবুকে, টুইটারে ঘুরে বেড়াই। এখন আমার যদি কারও টুইট বা স্ট্যাটাস ভাল লাগে তাহলে কী সেটা আমি কিনতে পারবো?

হাসছেন তাই না।

আচ্ছা। ধরুন, আনিসুল হক ক্যানভাসে একটা ছবি এঁকেছেন। তিনি যদি এটি বিক্রি করতে রাজি থাকেন তাহলে কী আপনি সেটা কিনতে পারবেন না?
বস্তু জগতের শিল্পকর্ম যদি ক্রয়-বিক্রয় হতে পারে তাহলে ডিজিটাল শিল্প-কর্ম কেন বিক্রি হবে না?
আপনি বলতে পারেন – আনিসুল হকের ছবি আপনি বাসায় এনে বাঁধাই করে রাখতে পারবেন। কিন্তু স্ট্যাটাস কেমনে বাঁধাই করবেন?

হুম। এটা একটা প্রশ্ন বটে। কারণ ফেসবুক স্ট্যাটাস বা টুইটারের টুইট এগুলোর তো অস্তিস্থই থাকে না প্ল্যাটফর্ম ছাড়া।
তার মানে আমার একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস যদি আপনি কেনেন তাহলে কিন্তু সেটা সেখানেই থেকে যাবে। অন্য অনেকেই সেটি লাইক, শেয়ার করতে পারবে। তাহলে আপনার লাভ কী?
আপনি অবশ্য তার ‘মালিকানা’ পাবেন।

টুইটারের সহ-প্রতিস্ঠাতাসকালে দেখলাম বিবিসি নিউজ করেছে টুইটারের সহ-প্রতিস্ঠাতা জ্যাক ডর্সির একটা টুইটের নিলাম নিয়ে। কয়েকদিন আগে ডর্সি ২০০৬ সালের ২২ মার্চ তাঁর দেওয়া প্রথম টুইটটি নিলামে তুলেছেন। বিবিসির খবরে দেখলাম এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম উঠেছে মাত্র ২১ কোটি টাকা (২.৫ মিলিয়ন ডলার)!

খুাই সাধারণ একটা টুইট। জ্যাক ডর্সিও কিন্তু স্টিভ জবস নন। তারপরও এই ঘটনা বলছে ডিজিটাল শিল্পকর্মের প্রতি মানুষের এক ধরণের আগ্রহ বাড়ছে।

ভাল কথা যে কিনা এই টুইটটি কিনবেন তিনি কি পাবেন। তিনি পাবেন একটি নন ফাংজিবল টোকেন (NFT)। এটি এক ধরণের ক্রিপ্টোকারেন্সির টোকেন। অন্যান্য টোকেনের সঙ্গে পার্থক্য হচ্ছে এটি ইউনিক বা নন ফাংজিবল। ফাংজিবল শব্দটা আমার কাছে একটু নতুনই। খোঁজ নিয়ে বুঝলাম এটি “অবিনিময়যোগ্য”। টাকা হচ্ছে বিনিময় যোগ্য। ১০ টাকার বদলে আপনি একটা ১০টাকা বা ২টা ৫ টাকার নোট পাবেন। কিন্তু এনএফটি টোকেন অন্য একটা টোকেন দিয়ে বদলাতে পারবেন না।  আপনি মালিকানা ছেড়ে দিলে সেটি হস্তান্তর করতে পারবেন।

দেখা যাক জ্যাকের এই টুইট শেষ পর্যন্ত কতো টাকাতে বিক্রি হয়।

One Reply to “২১ কোটি টাকার টুইট?”

Leave a Reply