উদ্যোক্তাদের জন্য সাবিরুলের ১০ টিপস

Spread the love

The World at Your Feet Book 2বিশ্ব তোমার পদতলে সাবিরুলের প্রথম বই যা তাকে ব্রিটেনজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে সাবিরুল এসেছিলেন বাংলাদেশে। সেই সময় তিন তার বই এর একটি কপি উপহার দের একজন বড় ব্যক্তিত্বকে। তাঁর টেবিলে বইটির দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকায় তিনি সেটি আমাকে পড়তে দেন। মোটামুটি সপ্তাহ দুয়েক লাগিয়ে সেটা পড়া শেষ করেছি। বইটি বাংলায় অনুবাদ হয়ে প্রকাশিত হবে সহসা। তখন সবাই সেটি পড়তে পারবেন।
সেই বই-এর একেবারে শেষে সাবিরুল উদ্যোক্তাদের জন্য ১০টি টিপস দিয়েছেন। সংক্ষেপে সেগুলো

  • রূপকল্প : থিংক বিগ – বড় করে ভাবতে হবে। তরুনরাই আসলেবড় স্বপ্ন দেখতে পারে বলে যে ধারণা প্রচলিত সাবেরুল তার সঙ্গে একমত। কাজে বড় চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
  • তিন আঘাত – ত্রি স্ট্রাইক : চাইলেই তো বড় উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। আবার কেবল স্বপ্ন থাকলেও হয় না। স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দরকার দর্শন। নিজর একেবারে নতুন দর্শন হতে পারে কিংবা কোন প্রচলিত দর্শনকে ফলো করা যেতে পারে। তীব্রতা, সততা এবং বুদ্ধিমত্তা হবে সেই দর্শন বাস্তবায়নের হাতিয়ার।
  • বিশ্বাস – বিশ্বাসে মিলায় স্বর্গ, তর্কে বহুদূর। নিজের ওপর অবিচল বিশ্বাস থাকতে হবে। নতুবা বেশিদূর যাওয়া যাবে না।
  • তিন –সি : কমিটমেন্ট, কন্ট্রোল, কম্পিটিশন। বিশ্বাসের পরই কমিটমেন্ট আর ব্যালান্স। অনেক উদ্যোক্তা ইউনিভার্সিটির পড়াশোনা শেষ করেন নি। তার মানে এই নয় যে, তোমাকেও ড্রপআউট হতে হবে। তুমি যদি পড়ালেখাটা কর তাহলে বাড়তি এডভান্টেজও পেতে পারো। মোদ্দা কথা হল একটা ব্যালান্সড চিন্তা ও কাজ।
  • ফীডব্যাক ও উপদেশ : প্রতিদিনই শিখতে হবে। হামবড়া ভাব আসলেই কিন্তু মরতে হবে। এই জন্য ফীডব্যাক এবং উপদেশের জন্য নিজের দুইকান আর চোখ সবসময় খোলা রাখতে হবে।
  • ধৈর্য – বলার কিছু আছে?
  • শ্রদ্ধা : গর্ব এবং ঔদ্ধত্যকে মিলিয়ে ফেলা যাবে না। তুমি এমন জায়গায় একদিন গিয়ে পৌছাবে যে সবাই তোমার কাছে আসতে চাইবে, তোমার কথা শুনতে চাইবে। রোল মডেল হতে হবে। সবাইকে শ্রদ্ধা করতে হবে।
  • নেটওয়ার্ক – নিজের নেটওয়ার্ক বড় কর। ব্যসা উদ্যোগ বড় হয়ে অন্যদের জ্ঞান আর সহায়তা দিয়ে। নেটওয়ার্ক বড় করে সেটি করা যায়। সবার সঙ্গে মিশো, নিজের উদ্যোগের কথা জানাও। জানাো এবং জানাও। “Be the one who approaches rather than being the one who is approached. ”
  • ক্যারিশমা – নিজের ওপর বিশ্বাস আর আত্মবিশ্বাস হল একদিক। অন্যদিকে নানান দিক থেকে তোমাকে এপ্রোচ করবে। কাজে সব মিলিয়ে নিজের একটা ক্যারিশম্যাটিক ভাব গড়ে তোল।
  • কথা থেকে কাজ : সব শেষ কথা। কথা দিয়েই শেষ করা যাবে না। নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে সেটিকে কাজে নামাতে হবে।

 Sabirul

তো হয়ে যাক।

তোমার উদ্যোক্তা স্বপ্নের বাস্তবায়নের লড়াই শুরু করে দাও আজ থেকে। কাল বলে কোন সময় নেই উদ্যোক্তার। তলস্তয়ের কথা মনে আছে?

দেয়ার ইজ অনলি ওয়ান টাইম দ্যাট ইজ ইমপর্টেন্ট – নাও।

নেমে পড়। বিশ্বাস করো, “একদিন বিশ্ব তোমার পদতলে” লুটাবে।

 

15 Replies to “উদ্যোক্তাদের জন্য সাবিরুলের ১০ টিপস”

  1. স্যার, আপনার ব্লগ থেকে ফেসবুকে শেয়ার করার অপশন থাকা উচিত।

  2. The most comprehensive and very well thought out write up I have found on this subject on the net. Keep on writing, I will keep on coming by to read your new content. This is my fourth time coming by your blog.

  3. There is no past or future for the Law Of Attraction, only the present. So stop referring to your life in the past as very difficult, or full of hardship and pain, or in any other negative way. Remember that the law only operates in the present, so when you speak of your past life negatively the law is receiving your words and sending those things back to you NOW.

  4. There is no past or future for the Law Of Attraction, only the present. So stop referring to your life in the past as very difficult, or full of hardship and pain, or in any other negative way. Remember that the law only operates in the present, so when you speak of your past life negatively the law is receiving your words and sending those things back to you NOW.

  5. তলস্তয়ের কথা মনে আছে?

    দেয়ার ইজ অনলি ওয়ান টাইম দ্যাট ইজ ইমপর্টেন্ট – নাও।
    osthir……

  6. সাবিরুল ইসলাম ইংল্যান্ড তথা উন্নত দেশের আর্থসামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতে বড় হয়েছেন। ওয়েব সাইট বানানোর ব্যবসায় দিয়ে শুরু তার উদ্যোক্তা হয়ে উঠা। তার সব সব চিন্তা ভাবনা আমাদের দেশের জন্য বা ব্যাক্তি/ব্যবসা ভেদে পুরোপুরি খাপ খাবেনা কখনোই। যে দশ বর্ণনা দেয়া হল তার কয়েকটির সঙ্গে নিজেরটা মিলিয়ে দেখি খাপ খাচ্ছেনা। তো সেই গুলোর ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করে নিজের মত প্রদান করলাম। আবার আমার মতামত সবার কাছে গ্রহন যোগ্য হবে এমনটি ভাবিনা।

    ১) প্রথমেই বড় করে ভাবতে গিয়ে ৭ বছর নস্ট করেছি বরং ছোট করে ভেবে শুরু করলে এখন আমি যে পজিশনে আছি তা আরো ৫ বছর আগেই থাকতাম আর আগামী ৫ বছর পরে যে পজিশনে থাকার আশা আছে তা হয়ত এখনই থাকত।
    ২) তীব্রতা, সততা আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে যদি দর্শন বাস্তবায়ন করা যেত তাহলে তো আর কোন কথাই ছিলোনা। যেটারই ব্যবসা করব আগে সে জন্য থাকতে হবে সেই সম্পর্কিত একসেপশনাল কমপ্লিট এক্সপার্টনেস নয়ত পুঁজি। ব্যবসা প্রতিযোগিতা বিবেচনা করলে তো বর্তমান বাস্তবতায় দুইটাই সমান গুরুত্বপূর্ণ।
    ৩) নিজের প্রতি অবিচল বিশ্বাস বা বলা যায় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস অনেক সময় পতন ডেকে আনে। পজিটিভ নেগেটিভ সব বিবেচনা না করে এবং বাস্তবতার নিরিখে নিজের ধারন ক্ষমতা যা আছে তা হিসেব না করে শুধু বিশ্বাস এর উপরে নির্ভর করে সব কিছু করতে গেলে ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলতে বেশী সময় লাগবেনা।
    ৪), ৫), ৬), ৭) কোন দ্বিমত নেই।
    ৮) ব্যবসা রান করে যখন সফল হয় তখন অটোমেটিক ব্যবসার পরিধি ইনক্রিজ করে সেই সঙ্গে নেটওয়ার্ক ও অটোমেটিক সমান তালে বড় হয়। যদিও এখানে নেটওয়ার্ক বলতে কিসের নেটওয়ার্ক বুঝানো হয়েছে সেটা আমার কাছে ক্লিয়ার হয়নি। আমার উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার একক, এখন আমি যদি ৫০ হাজার একক চাহিদার কাছে নিজেকে মেলে ধরি তো লাভ কি হবে, বরং অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আর নিজের বিজনেস সিক্রেসি অন্যের কাছে জানাতে যাবো কোন দুঃখে? বা আমি কেনো চাইব আরেকজন আমার ব্যবসার মত করে ব্যবসা শুরু করুক? এতে বাজারে নতুন প্রতিযোগি তৈরি হয়ে আমার জন্য কি হুমকি তৈরি হচ্ছেনা? একজন প্রকৃত ব্যবসায়ী করবে নাকি এই কাজ বা ভাববে নাকি এমন করে?
    ৯) বিজনেস করতে বসেছি, ক্যারিসমেটিক ভাব আনতে হবে কেনো? আমি কি কোন রাজনৈতিক নেতা/সিনেমার নায়ক না বিজ্ঞাপনের মডেল নাকি কোন বুদ্ধিজীবি?
    ১০) “কথা কম কাজ বেশী” কোন সন্দেহ নেই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখন যেসব তরুন উদ্যোক্তা হতে চলেছেন তাদের বেশির ভাগকে তো দেখি কাজের চেয়ে কথাই বেশী বলতে। তারা যতটুকু করেছে বা যা জানে তার চেয়ে কথা বলে বেশী। তাদের ভাব দেখে মনে হয় কথা দিয়েই তারা বিশ্ব জয় করে ফেলতে পারবে। স্থায়ী/অস্থায়ী সম্পদ হবেনা এক লাখ টাকার/ মাসে মনে হয়না এখনো ২০ হাজার টাকা ইনকাম হয় কিন্তু ঘন্টায় ঘন্টায় ফেবুতে দেখি স্ট্যাটাসঃ বিজনেসের এড্রেস বিবরন দেয়া হচ্ছে “হেড কোয়ার্টার এই জায়গা, ব্রাঞ্চ অফিস ওই জায়গা, ইউ এস এ অফিস, লন্ডন অফিস আবার কিছুদিনের মধ্যে খাগড়াছড়ি অফিস ও উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।” বা আরো আছে যেমন, “এই মাত্র এত লাখ টাকার মাল ডেলিভারী দিলাম ভালোই লাভ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।” মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

    1. আমাদের সঙ্গে সাবিরুলের সব কিছু মিলবে এমন কোন কারণ নাই। আর মিলতেই হবে এটাও ঠিক না। আপনার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, ধন্যবাদ।
      তবে, থিংক বিগ নিয়ে আপনার আপত্তির সঙ্গে একমত হত পারছি না অন্য কারণে। বইটা অনুবাদ হবে বাংলায় সেজন্য আমি অনুবাদ করিনি। তবে, বই-এর সুর যা বলে তাতে এটি পুরানো একটি কথারই প্রতিধ্বনি – Think Big, Start Small, Roll out fast! চিন্তা বড় করার সঙ্গে কাজ বড় করে শুরু করার স্ম্পর্ক আছে কি?
      আর ক্যারিসমেটিক বলতে আসলে স্মার্টনেস বোঝানো হয়েছে। আমাদের দেশে এখনো অনেক উদ্যোক্তা কর্পোরেট কেরানীদের তুলনায় খুবই কাচুমাচু করে থাকেন। যার কোন দরকার পড়ে না।
      আপনার অভিজ্ঞতাটাও সবার কাজে লাগুক।

Leave a Reply