লালডা না কালাডা

Spread the love
এই জোকটা বেশ মজার, প্রায় সবাই জানেন। । কোন কোন জোক কালোত্তীর্ণ হয়। এটিও মনে হয় সেরকম মর্যাদা পাবে। এই জোক নিয়ে আমাদের এখানে নাটকও তৈরি হয়েছে। মিমতো আছো। মূল বিষয় হরো বেছে নেওয়া।
দুই-এর মধ্যে একটা বেছে নেওয়ার কাজটা অনেক পুরাতন। সম্ভবত মানব সৃষ্টির শুরু থেকে এই ব্যাপারটা চালু ছিল। তবে, মার্কেটিং-এর লোকেদের, বিশেষ করে গ্রোথ হ্যাকারদের মতো, কালাডা না লালডা আর কেউ সেভাবে ব্যবহার করে না। গ্রোথ হ্যাকারদের জীবনের অপর নামই বলতে গেলে – কালাডা না লালডা?
এটার একটা পোষাকী নামও আছে – A/B টেস্ট। গ্রোথ হ্যাকার মাত্রই সারাক্ষণ এ/বি টেস্টের ধান্দায় থাকে। এর কারণও আছে।
ইন্টারনেটের আগে বিজ্ঞাপন প্রকাশ ছিল প্রচুর ব্যয়বহুল। সেখানে একটা বিজ্ঞাপনের দুইটি ভার্সন করে সীমিত আকারে টেস্ট করার কোন সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন স্যোসাল মিডিয়া বলেন কিংবা সার্চ ইঞ্জিনেের কথা বলেন সব জায়গাতেই আপনার সুযোগ আছে টেস্ট করে নেওয়ার। এই যেমন দেশীয় একটি ই-কমার্স সাইট তাদের একটি নতুন ফিচার এড করার জন্য ২৭টি এ/বি টেস্ট করেছে।
আমার শরবতে বাজিমাত বইতে ্বছে কীভাবে তিন তরুন তাদের শরবতের ব্যবসা করবে কি করবে না সেটা নিয়ে একটা নন-আইটি এবি টেস্ট করেছে।
আপনি হয়তো একটিও করছেন না? কেন করছেন না? হয়তো ভাবছেন না টেস্ট করলে আপনার রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে। হয়তো আপনার ইচ্ছে করে না।
কিন্তু সত্যিকারের গ্রোথ হ্যাকাররা কিন্তু এই ব্যাপারটা কখনো মাথা থেকে ফেলে না। কারণ এদের আর একটি জীবন হলো এক্সপেরিমেন্ট। আপনি যখন বিশ্বের বিখ্যাত এ/বি টেস্টগুলোর খবর নেবেন তখন দেখবেন “অবভিয়াস” ব্যাপারটা কীভাবে ধরা খায়।
আপনি ই-মেইলে গ্রোথ হ্যাকিং কোর্স করেন বা না করেন এ/বি টেস্ট করতে ভুলবেন না কিন্তু! কালাডা না লালডা সেটা বাজিয়ে দেখুন।
হ্যাপি গ্রোথ হ্যাকিং

Leave a Reply