ইনোসেন্টের শরবত ৫: নো হোয়াট ইউ কেয়ার এবাউট

Spread the love

ইনোসেন্টের শরবত-৪: বাড়ার যন্ত্রণা সামাল দেওয়া

তুমি যদি কখনো কোন বিজনেস বই পড়ার কথা ভাবো তাহলে আমরা তোমাকে জিম কলিন্সের গুড টু গ্রেট পড়ার জন্য বলবো। এই বইতে জিম ও একদল ব্যবসা স্নাতক যে সকল ব্যবসা ভাল এবং যেগুলো গ্রেট তার মধ্যে পার্থক্য খোঁজার চেষ্টা করেছেন।

একটি প্রধান পার্থক্য তারা আবিষ্কার করেছেন তা হল বিরাজ করার স্পষ্ট ধারণা। সকল বাণিজ্যিক কিংবা সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যা সফল হয়েছে, সেগুলোর সবকটি নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিস্কার। বলা যায়, কী তারা করবে কিংবা কেন তারা করবে সেই নিয়ে তাদের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্ধ নেই। অন্য কথায় বলা যায় সেরা সংগঠন এবং এর কর্মীরা জানে কেন তারা কি করছে?

 

আমার মোটিভেশান কী?

এই প্রশ্নের সঠিক জবাব যে কোন প্রতিষ্ঠানের চেহারাই পাল্টে দিতে পারে। কাজে তোমাকে এই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে জানতে হবে। এর ফলে, প্রথমত তোমার কর্মীদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া বাড়বে। তুমি একটা কিছু করছো যা সবার জন্য ভাল—এমন একটা বোধ যদি তোমার কর্মীদের মধ্যে থাকে তাহলে তারা সকালে ওঠে অফিসে আসতে ভালবাসবে। ঘরে বসে এফএম রেডিওতে আজকের সকাল শুনবে না।

তুমি হয়তো হাওউ’র নাম শোনো নাই। এটি ইংল্যান্ডের ওয়েলস-এর একটি বুটিক হাউস। যারা স্টেক বোড, সাইকেল চালানো কিংবা সেরকম বাইরের কাজ করে তাদের জন্য জামা-কাপড় বানানোই হল এদের কাজ। পশ্চিম ওয়েলসের মাত্র ৫০০০ লোক অধ্যুষিত একটি শহর কার্ডিগান বে। হাওউি-দাবী করে তারা কার্ডিগান বে’র তৃতীয় বৃহত্তম পোষাক কোম্পানি। কখনো সেখানে গেলে ওইখানে একটা ঢু মারতে পারো। ডেভিড ও ক্লেয়ার দম্পত্তি ভাল চা বানায় কিন্তু।

যদি তুমি ওদের ওয়েবসাইটে যাও তাহলেও দেখবে তারা তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কতটা সচেতন। তারা নিজেরাই নিজেদেরকে নানানভাবে বেঁধে রেখেছে। একটি উদাহরণ হল পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা। প্রাকৃতিক সুতা এবং পুনঃব্যবহার্য জিনিসপত্র থেকেই তাদের কাপড়ের প্রস্তুতি। তাদের টি-শার্টেও পরিবেশ সংক্রান্ত নানান আবহ থাকে। আমাদের পছন্দের একট টি-শার্টে লেখা—Work Hard, Canoe Home। অর্থাৎ নৌকা বেয়ে বাসায় ফেরো। ব্যাপারটা এমন নয় যে, টি-শার্ট বিক্রির জন্য তোমাকে এই কাজটা করতে হবে। তুমি কাজটা করবে কারণ তুমি তা বিশ্বাস কর। তোমার বিশ্বাসের মর্যাদা তুমি রাখবে। (ব্যবসাটা হবে কিন্তু, মনে রেখ।)

তোমার উদ্দেশ্য যদি পরিষ্কার হয় তাহলে তুমি তোমার প্রতিষ্ঠানটিও ঠিকমত গড়ে তুলতে পারবে। জেনারেল ইলেকট্রিক বিশ্বের অন্যতম সফল কোম্পানি। তাদের লক্ষ্য পরিস্কার—to turn imaginative ideas into products that help solve the world’s toughest problem। এই লক্ষ্যের কারণে বছর কয়েক আগে (২০০৪-২০০৫) জিই জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেয়। পরবর্তী কয়েকবছরের চেষ্টা এবং মাল্টি বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের মাধ্যমে ওরা এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বায়ুকল ও সৌরপ্যানেল উত্পাদনকারী। পরিষ্কার উদ্দেশ্য আসলে একটা বীকনের মতো, এ শুধু নিজের লোকদের গাইড করে না বরং অন্যদেরও তোমার কাজের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। চূড়ান্তভাবে এ হচ্ছে তোমার  নিয়োগের অন্যতম হাতিয়ার। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের ওয়েবসাইটের প্রথম পৃষ্ঠায় লিখে রেখেছে ‘to protect individuals, wherever justices, fairness, freedom and truth are deviated।’ অনেক সামাজিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের জন্য এটি সিভি পাঠাতে অনুপ্রাণিত করে বৈকি।

ইনোসেন্টের শুরু থেকে আমরা অন্তত একটা বিষয় খুব পরিস্কার ছিলাম—আমরা চেয়েছি পাবলিকের জন্য এমন কিছু করা যা তাদের জীবনকে একটু হলেও ভাল করে; প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর পানীয়, যত বেশি লোকের কাছে পৌঁছানো যায়। আমরা অবশ্য এটিকে ‘পারপাজ’ বলতাম না কারণ তখনো আমরা ম্যানেজমেন্টের বই পড়ি নাই। তবে, একটা মোটিভেশন ছিল যে আমরা কেবল শরবত বেঁচে টাকা কামাবো না। এর পাশাপাশি মানুষের ডায়েটেরও উন্নতি করবো। যাতে, তাদের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে। আর এর জন্য আমরা গর্বও করতে পারবো।

সাত বছর পরে আমরা আমাদের ‘পারপাজ’ আবার রিভিজিটেড করে দেখলাম সেটি ঠিক আছে কিনা। যারা আমাদের ইনোসেন্টে যোগ দিচ্ছিল তাদেরকেও আমরা একই প্রশ্ন করতাম—তাদের কাছে কোম্পানির পারপাজ কী? এটি খুবই কার্যকরী একটি প্রক্রিয়া। বিশেষ করে, মধ্যাহ্নের খাবারের সময় চীজ স্যান্ডউইচ খেতে খেতে সবার কাছে জানতে চাওয়া।

দেখা গেল আমাদের মূল ধারণাটা সবার মধ্যেই রয়েছে। আমরা তাই এটাকে পুনর্নিমাণ করলাম, ছোট করলাম—‘Make good Food’। এর মাধ্যমে আমাদের তিনটি বড় লক্ষ্য হল—

১. আমরা এমন খাবার তৈরি করবো যা হবে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং আশপাশের পরিচিত খাবারের তুলনায় প্রাকৃতিক খাবার কত চমত্কার সেই বোধটিও সবার মধ্যে জাগ্রত করবে,

২. আমরা যা বানাবো তা জেনুইনলি স্বাস্থ্যকর হবে। তোমার জন্য স্বাস্থ্যকর এমন উপাদান দিয়ে তৈরি হবে এবং যার ওপরে কোন সৌন্দর্যের প্রলেপ দেওয়া হবে না। এটি মানুষকে বেশিদিন বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে।

৩. এবং এটি টেকসই হবে।

গেট সাম ভ্যালুজ

ব্যবসা হোটেল রুমের মত—যে কোন সময় দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে। ‘মুনাফার লোভ’ অনেক সময় এমন কিছু করতে বাধ্য করবে যা কিনা অন্য সময় করা হয় না। নিঃসন্দেহে, সকল সফল ব্যবসাকে রাজস্ব বাড়াতে হবে, খরচ কমাতে হবে এবং টাকা বানাতে হবে। ইনোসেন্টেও আমরা সবাই এই কাজগুলো অন্য যে কোন কোম্পানির মত করতে চাই। আমরা গ্রোথ আর মুনাফার পেছনে দৌড়াই কারণ তা সুযোগ আর ভ্যালু সৃষ্টি করে। কিন্তু, যদি তোমার ব্যবসাতে সংখ্যাই কেবল গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে নানারকম weird জিনিস ঘটতে পারে।

এনরন হচ্ছে ব্যবসা জগতে এর সবচেয়ে কমপেলিং উদাহরণ। এনরন শেষ পর্যন্ত টিকতে পারলো না কারণ ওদের সকল কিছুর মূল ছিল মুনাফা, টাকা। এমনকী, এনরন জগতে টাকার জন্য সব কিছু জায়েজ ছিল। তাদের ট্রেডাররা যেন বেশি মূল্যে ‘বিদ্যুৎ’ বিক্রি করতে পারে সেজন্য এনরণ ইচ্ছেকৃতভাবে ক্যালিফোর্নিয়াতে বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি করে। এতে তাদের মুনাফা বাড়ে। বড় অংকের মুনাফা দেখানো আর প্রজেকশন দেওয়াটা তাদের অভ্যাস হয়ে যায়। এমনকী মুনাফার লোভে তারা ভুলেই গিয়েছিল তাদের পারপাজ কী। কেনই বা তারা বিরাজ করে।

এমনটা ঘটাটা অস্বাভাবিক নয়। কর্পোরেট আচরনের কোন নীতিমালা ছাড়া কেবল টাকার পেছনে ছুটলে কী পরিণতি হতে পারে তার একটা বড় উদাহরণ হল এনরন। ঠিক এই জায়গাতেই ‘ভ্যালু’র কথা আসে। এর ফলে কিছু সহজ নীতিমালা তৈরি হয়। এই নীতিমালা হবে নন-নেগোশিয়েবল; তোমার প্রতিষ্ঠানের সংস্কৃতি সেটি তৈরি করবে এবং তোমার ব্যবসার ডিএনএ হবে।

অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায় ডিসেন্ট ভ্যালুজ ব্যবসাকে রক্ষা করে যখন সে কীনা মুনাফার পেছনে দৌড়ায়, যাতে তার দৌড় যেন বোকার মত না হয়।

আমাদের সেরকম ৫টি ভ্যালুজ আছে। (৫ আমাদের জাদুকরী সংখ্যা) সবসময় আমরা এগুলোকে সামনে রাখি। লোক নিয়োগের সময় আমরা দেখি। যদি কেও আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে অনুরণিত না হয়, তাহলে তাকে আমরা নেই না। কারণ, এর ফলে সে যেমন ইনোসেন্ট থেকে সর্বোচ্চ পাবে না তেমনি ইনোসেন্টও তার থেকে সবটুকু পাবে না। এ কারণে কাউকেই আমরা দলে নেই না, যদি সে ঘণ্টাখানেক রিচার্ডের সঙ্গে আমাদের মূল্যবোধ নিয়ে আলাপ না করে। যারা আমাদের মূল্যবোধকে সম্মান করে তাদেরকে আমরা যেমন পুরস্কৃত করি, তেমনি এর অন্য যা হলে তাকে পত্রপাঠ বিদায় কর দিতেও কার্পণ্য করি না।

আমাদের মূল্যবোধ

প্রাকৃতিক-ন্যাচারাল

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ্যালু। আমরা যত পণ্য তৈরি করি এটি হল তার প্রথম এবং সর্বোচ্চ—১০০ ভাগ খাঁটি ও প্রাকৃতিক, ১০০%। তবে এই বোধ এর চেয়েও একটু বেশি। আমরা চাই যারা আমাদের সঙ্গে কাজ করে তারাও যেন তাদের সহজাত ব্যাপারগুলো নিয়েই কাজ করে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সেটি প্রয়োগ করে। মানুষকে আমরা এই মর্মে সচেতন করতে চাই যে, ব্যবসা হল শেষ বিচারে মানুষের সম্প্রদায় এবং এর ফলে যত বেশি মানুষকে আমরা সহজাত, বন্ধুসুলভভাবে ট্রিট করতে পারবো, ব্যবসাও তত উন্নতি হবে। সোনালী নিয়ম হল মানুষের কাছে, বিশেষ করে আমাদের গ্রাহকদের এই নিশ্চয়তা প্রদান—আমরা তাদেরকে সত্ভাবে মুক্তভাবে, উষ্ণতার সঙ্গে এবং প্রাকৃতিকভাবেই ট্রিট করি।

এন্ট্রাপ্রিনিউরাল – উদ্যোক্তাসুলভ

বলার জন্য এটি খুবই কঠিন যদিও উদ্যোক্তাসুলভ ব্যাপারটা আমাদের রক্তেই মিশে আছে। আমরা একটি স্বতন্ত্র কোম্পানি, একেবার শূন্য থেকে শুরু করেছি এবং আমরা সর্বদা উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম করতে চাই তা সেটা কোন নতুন সুযোগের পেছন দৌড়ানো হোক, স্ট্যাটাস কো ভেঙ্গে দেওয়া হোক কিংবা হাজার হাজার ‘না’ থেকে ‘হ্যাঁ’ বের করে আনা হোক। আমরা চাই আমাদের কর্মীরা রিস্ক নিক তারা নতুন অ্যাপ্রোচে আগাক। এর মানে এই নয় যে, আমরা খালি উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত নেই। বরং আমরা তাকে এগিয়ে রাখি যে কিনা অনেক ভেবেচিন্তে নতুন কিছু করে ও ব্যর্থ হয়। আর যে কী না কিছুই করে না তার ব্যাপারে আমরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।

রেসপন্সিবল

বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মত এই কথাটা আজব শোনাতে পারে। কিন্তু আসলেই আমরা এটা মিন করি। আমরা চাই, সামান্য হলেও ভাল পরিবেশ তৈরি করতে। আর এটা আমরা যেমন ছোটখাটো অভ্যাস যেমন—সিংকে টি-ব্যাগ না ফেলা থেকে প্রকৃতিকে ফিরিয়ে দেওয়াতেও বজায় রাখি। এ কারণে আমরা পরিবেশ বান্ধব প্যাকেজিংয়ের পেছনে অকে বেশি সময় দেই, প্রতিবছর আমাদের কার্বন নিঃসরনের হিসাব রাখি এবং অর্গানিক কৃষককে উত্সাহিত করি। আমাদের আরো একটা প্রিন্সিপল হল—‘Dont be lame’ অজুহাত দিও না। এটি সবাইকে অনুপ্রাণিত করে মিথ্যা না বলার জন্য, অন্যকে দোষারোপ না করতে এবং টয়লেট রোলটা পরিবর্তন করতে যদি সে শেষ ব্যক্তি হয়!

কমার্শিয়াল – বাণিজ্যিক

এই মূল্যবোধটা এখানে থাকার অর্থ হল আমরা হিপ্পি নই। আমরা চাই না লোকে আমাদেরকে এমন কিছু ভাবুক যা আমরা নই। ইনোসেন্ট একটা ব্যবসা, কোন দাতব্য বা কমিউন নয়। আমরা গ্রোথ, মুনাফা এবং এ থেকে যে সুযোগ সৃষ্টি হয় সেগুলো ধরতে চাই। আমরা আমাদের কর্মীদের বাণিজ্যিক হতে উত্সাহিত করি। কারণ আমরা জানি আমাদের সামাজিক চিন্তাগুলো গতি পাবে না যদি না আমরা বাণিজ্যিকভাবে সফল হই। কথাটা উল্টোভাবেও সত্য।

জেনেরাস

জেনেরাস হওয়াটা আমাদের ফাইনাল ভ্যালু যা আমরা সর্বত্র প্রয়োগ করি। আমরা কর্মীদের ভাল কিছু করার কথা যেমন বলি তেমনি বিনয়ের সঙ্গে তাদের মনে করিয়ে দেই কেমনে তারা আরো ভাল করবে কোনখানে আরো উন্নতির সুযোগ আছে। আমরা চাই আমাদের কর্মীদের এই গুণটি প্রকাশ পাক নানানভাবে—হতে পারে সেটি কোন ট্রাকে মালামাল আনলোড করাতে কিংবা পাশের চেয়ারের লোকটির কোন সমস্যা সমাধানে সহায়তায়। একইভাবে কোম্পানিকেও জেনারাস হতে হবে—যারা আমাদের কোম্পানিকে গড়ে তুলেছে। প্রফিট শেয়ার, বোনাস, ইনসেনটিভ সবই যেন এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে। শুধু তাই নয় প্রথম বছর থেকেই বছর আমরা আমাদের মুনাফার ১০% দাতব্য কাজে ব্যয় করি।

 

কীভাবে আমরা ভ্যালুজ লিখলাম

শুরুতে আমরা ভেবেছিলাম ভ্যালুজগুলো কাগজে লেখাটা মনে হয় বেশি ‘কর্পোরেট’ হয়ে যাবে বরং আমরা লোকেদের বলতাম—‘Be innocent’। এবং নবীনরা সেটা বুঝে নিত পুরোনদের সঙ্গে মিশে। ছোট অবস্থাতে এটি ঠিক কারণ তখন সবাই একরুমে বসে। কিন্তু, বড় হলে সবাইকে একরুমে বসানো যায় না। তখন নানান বুদ্ধি করতে হয়। এবং সে কারণে একটা লেখা দরকার। কারণ সবার জানা দরকার সে কেন বিরাজ করে।

ইনোসেন্টের ভ্যালু ডকুমেন্টটা তৈরি করা হয় যখন এর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪১ জন। সবার মতামত নিয়েই আমরা এটি লিখেছি কারণ ওনারশীপ দরকার। শেষ পর্যন্ত তারাই এটি মেনে চলবে। তোমার প্রতিষ্ঠানের জন্য যখন তুমি ভ্যালু ডকুমেন্ট বানাবে তখন সবাইকে সে কাজে যুক্ত করবে।

====

৫ এর নিয়ম

যখনই আমরা কোন কৌশল ঠিক করি, কিংবা লক্ষ্য স্থির করি কিংবা দিনের কার্যসূচির একটা তালিকা বানাই তখনই আমরা ৫-এর নিয়ম মেনে চলি। তত্ত্ব কথায় ব্যাপারটা অনেকটা এরকম—

১. সবাই একটা বিষয় মনে রাখতে পারে (এভরিওয়ান ক্যান রিমেম্বার ওয়ান থিং)

২. যদি তারা সেটি না পারে, তাহলে তারা বোকা গর্দভ। (ইফ দে ক্যান্ট, দে আর ডুফাস),

৩. বেশিরভাগ লোক তিনটি বিষয় মনে করতে পারে। (মোস্ট পিপল ক্যান রিমেম্বার থ্রি থিং)

৪. এবং কেও ৫টির বেশি বিষয় মনে রাখতে পারে না (নো ওয়ান ক্যান রিমেম্বার মোর দ্যান ফাইভ)

৫. এই হল ৫-এর নিয়ম

(দ্যাট ইজ দ্যা রুল অব ফাইভ)

=====

[ব্রিটিশ স্মুথি ইনোসেন্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে এর তিন উদ্যোক্তার লেখা বই – এ বুক এবাউট ইনোসেন্ট। পড়তে শুরু করেছি কয়েকদিন আগে। সেই সঙ্গে মূল অংশগুলো শেয়ার করছি সবার সঙ্গে, আমার মত করে। বইটি উত্তম পুরুষে লেখা এবং আমিও সে স্টাইল নিয়েছি। বেশিরভাগ জায়গা ওদের ভাষায় তুলে দিয়েছি। কতক ক্ষেত্রে আমার কিছু সংযোগ আছে মাত্র]। –

7 Replies to “ইনোসেন্টের শরবত ৫: নো হোয়াট ইউ কেয়ার এবাউট”

  1. লেখাটা আমি খুব আগ্রহ নিয়েই পড়ছি। ভালো লেগেছে।
    লেখার জন্য ধন্যবাদ।

  2. মুনির ভাইয়ের বইয়ের এবং লেখার একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে বিনয়ের সাথে বলছি। ইনোসেন্টের শরবত নিয়ে মুনির ভাইয়ের লেখাটা আমি খুব আগ্রহ নিয়েই পড়ছি। চট্টগ্রামে বাসায় যেতে প্রিন্ট করে নিয়ে গেছি আগের ৪টা পর্ব, ছোট বোনকে পড়ানোর জন্য।

    যাই হোক যেকথা বলছিলাম – এই পর্বটা পড়তে খুব কষ্ট হয়েছে। অনুবাদটা খুব দুর্বল মনে হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই ভাবটা বাংলায় বোঝা যাচ্ছিল না। আরো Edit করে পাবলিশ করলে ভাল হত।

    আবারো মুনির ভাইকে ধন্যবাদ এমন একটা বই অনুবাদ করে আমাদের পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

    1. পাবলিশ করার আগে কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। এই পর্বটা বড় এবং অনেক বেশি ইনফরমেটিভ। বড় বলে, আমার নিজের থেকে বাড়তি কিছু, পান-অনুপান যোগ করার জায়গা কম। একবার ভেবেছিলাম এই চ্যাপ্টারটাকে দুই পর্বে লিখবো। তাহলে প্রতিটা পর্ব স্ট্যান্ডার্ড সাইজে থাকবে। পরে মনে হল এক সঙ্গে লিখে ফেলি। যে কোন ধারাবাহিক লেখার শেষের দিকে আসলে আমার এমন মনে হয়। কারণ বইটা পড়া শেষ হয়ে যায় এবং আমার আর তখন লিখতে ইচ্ছে করে না। এটা বেসিকেলি অলস লোকদের সমস্যা। আগের ফেসবুক, জবস-রে নিয়ে শুরু করা কয়েকটা ধারাবাহিক আর শেষ করতেই পারি নাই। এটার না আবার সেই পরিণতি হয় তা নিয়ে চিন্তিত।

      দেখি আল্লাহর কী ইচ্ছা।

      ধন্যবাদ।

  3. ভাইয়া ,লেখার সাথে সাথে recommended বই গুলোর PDF লিঙ্ক পেলে ভাল হত…:)

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version