বইমেলার বই ১৭ : ব্লকচেইন আর বিটকয়েন – সাধু সাবধান

Spread the love

এমএলএম নামে একটা অভিনব প্রতারণার কথা এদেশের সবাই জানে। এটা যে প্রতারণা এটা বুঝতে অনেকদিন লেগে যায়। এর আগে আরও একটা মাল্টি লেয়ার প্রতারণা ছিল। এটি ছিল একজন চারজনকে একটি নেটওয়ার্কে যোগ করবে। প্রত্যােকের কাছ থেকে ১০ টাকা (যে কোন পরিমাণ) টাকা নিবে। তারপর এ ৪০ টাকা এই চেইনের ওপরের কিছু লোককে পাঠাবে। সদস্যরা আবার প্রত্যেকে ৪ জনকে বানাবে এবং এটা চলতে থাকবে। এই প্রতারক পদ্ধতির নাম হলো পাঞ্জি পদ্ধতি। কারণ ইতালীর চার্লস পাঞ্জি এটির উদ্ভাবক। এই পদ্ধতিটা আমি জানতাম কিন্তু এটার আসল নাম জানতাম না। আজ মোস্তফা তানিমের লেখা বিটকয়েন বইটা পড়ে সেটা জেনে গেলাম।
আমি প্রথমে ভেবেছি বিটকয়েনের সঙ্গে এর সম্পর্ক কী। পরে বুঝলাম – অনেকেই বিটকয়েনের মতো একটি ক্রিপটোকারেন্সিকে অনেকেই শুরুতে এমন একটা কিছু ভেবেছেন। তবে, আসলে সেটা নয়।

তাহলে বিটকয়েন কী?

কয়েন বললে আমরা বুঝি এমন কোন মুদ্রা যার গায়ে লেখা থাকে “বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে … টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে”। মানে মুদ্রা মানে তার গ্যারান্টর আছে, যে ব্যাটা গ্র্যারান্টি দেবে তার একটা পদ্ধতি খবরদারী থাকবে। আমার দুইটা মুদ্রার মধ্যে বিনিশয হারও নির্ধারিত হবে নির্দিষ্ট নিয়মে।
বিটকয়েন এসবের ধার ধারে না। এটার কোন নিয়ন্ত্রককারী সংস্থা নাই, কোন দেশ নাই এবং কারও আশীরর্বাদপুষ্টও নয়। হাতবদল খুব সহজে ও দ্রত হয়, ফি খুবই সামান্য। একটি পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চলে।
তাই যদি হবে, এটার দাম কেন বেশি? কেন লোকে হুমড়ি খেয়ে এটার পিছনে পড়ছে? বাংলাদেশ ব্যাংকই বা কেন এটিকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশে?

এসবের উত্তর খুঁজেছেন লেখক মোস্তঢা তানিম তার “বিটকয়েন” বই-এ।
বইটা খুবই সাবলীলভাবে লেখা। ফলে, বিটকয়েন এবং তার পেছনের প্রযুক্তি ব্লকচেইন সম্পর্কে একটা সমস্যক ধারণা করাটা সহজ হয়ে যায়।
সহজ হয়ে যায় বলে তখন যে কেউ এতে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে না। কিসে এর দাম বাড়ে আর কিসে কমে সেটাও বোঝা সম্ভব হবে এই বই পড়ে।
আমাদের দেশে সাধারণত কোন প্রযুক্তি চালু হওয়ার দীর্ঘদিন পরে এ বিসয়ে বাংলাতে লেখা হয়।
এই প্রথমবার মনে হয় এর ব্যতিক্রম হয়েছে।
মোস্তফা তানিমকে ধন্যবাদ। অতি জরুরী বইটি লেকার জন্য।

বিটকয়েন
ব্লকচেইন প্রযুক্তি এবং অন্যান্য প্রযুক্তি
মোস্তফা তানিম
আদর্শ
মূল্য ২০০ টাকা।

Leave a Reply