ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড ও লোভী মাকড়সার গল্প

Spread the love

BIOC2009গতকাল ৩১ অক্টোবর ৫টি শহরে এক সঙ্গে ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডের বিভাগীয় পর্যায় অনুস্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ছিল বলছি কারণ আমি শুনেছি খুলনাতে কেও নাকি পরীক্ষা নিতে যায়নি। উপস্থিত ১৫-১৬ জন অংশগ্রহণকারী সেখানে ছিল। (আমি নিশ্চিত নয়। কেও কি কনফার্ম করতে পারে?)
তবে, ঢাকার আয়োজনে প্রায় ১০০+ ছিল। তারা ইউআইটিএসের মেইন ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিয়েছে। (এই ক্যাম্পাসে আমার প্রথম যাওয়া। জেনে খুশী হলাম যে, এদের একটা ডিপার্টমেন্টের নাম ডিপার্টমেন্ট অব এমবিএ এবং একটা ডিপার্টমেন্টের নাম ডিপার্টমেন্টঅব বিবিএ)। প্রায় আড়াই ঘন্টার পরীক্ষা।
ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড হলেও এই অলিম্পিয়াডে আসলে দেখা হয় অংশগ্রহণকারীদের গাণিতিক দক্ষতা। কারণ কম্পিউটারে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার মত রিসোর্স নাই। প্রশ্নকর্তারা সেখানে ছিল। তাদের বক্তব্য হল যারা প্রোগ্রামিং পারে তাদের জন্য এই অঙ্কগুলো তেমন কিছু না। ওরা পারবে। আমার অবশ্য তেমন আত্মবিশ্বাস নাই। তা যেহেতু লিখিত পরীক্ষা তাই বড় প্রশ্ন এবং সময় আড়াই ঘন্টা। রুবাই-এর কারনে আমার যাওয়া। আর একটি কারণও ছিল সেটা হল আগ্রহীদের সংখ্যা সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া।
আমরা একটা প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াডের পরিকল্পনা করছি যা কিনা কম্পিউটারে বসেই দিতে হবে। এবং সেটা আইসিপিসির মতই হবে খালি প্রোগ্রামগুলোর স্ট্যান্ডার্ড সেরকম হবে না কারণ অংশ নেবে হাইস্কুলের (৮ম-১১শ) শিক্ষার্থীরা। এজন্য বুঝতে গিয়েছিলাম গড়ে কত ল্যাপটপের ব্যবস্থা করতে হবে। সব শুনে দেখে মনে হচ্ছে শুরুতে আমাদের তেমন একটা সমস্যা হবে না।
ওখানে গিয়ে  আমার লোভী মাকড়শার গল্পের কথা মনে পড়েছে।
এক মাকড়সা খালি খেত। কোন দাওয়াতই মিস করতো না। কিন্তু তার সবসময় মনে হত এই বুঝি কোথাও কোন খাওয়া মিস হয়ে গেল। তাই সে নিজের পেটে চারটা দড়ি বেঁধে চার ছেলেকে উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিমে পাঠিয়ে দিল। কিছুক্ষণ পর প্রথমে বড় ছেলে, তারপর মেজো এবং সবাই বাবার দড়ি ধরে টানাটানি শুরু করলো কারণ খাওয়া শুরু হযে গেছে। কিন্তু বেচারা মাকড়সাতো আর চারদিকে যেতে পারে না! এদিকে চারছেলের টানাটানিতে তার মরণ দশা। শেষ পর্যন্ত দড়ি ছিড়ে যাওয়ায় সে এ যাত্রা বেঁচে গিয়েছে।

সবার জীবন পাই-এর মত সুন্দর হোক।

Leave a Reply