প্রোগ্রামিং : বিশ্বাস নাই অন্যের চিজে, সবই শিখি নিজে নিজে

Spread the love

যারা প্রোগ্রামিং করে তারা কম-বেশি স্টেক-ওভারফ্লো ডট কম সম্পর্কে জানে। এটি হচ্ছে  প্রোগ্রামারদের “বিপদ তাড়ন পাঁচন, প্রশ্ন করে বাঁচন”। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত প্রশ্ন করে তার উত্তর পাওয়া যায়।

প্রতি ৮ সেকেন্ডে কেও না কেও সেখানে প্রশ্ন করছে আর ২০১৫ সালে ১৭৩টি দেশের ৫৬ হাজার ৩৩ জন ডেভেলপার সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। প্রতি বছর স্টেক ওভার ফ্লো একটি জরিপ করে। এবছরও তারা সেটি করেছে। জরিপে মোট ৪৫টি প্রশ্ন ছিল।

গত সপ্তাহে তারা জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে। সম্পূর্ণ ফলাফলে যাদের আগ্রহ আছে তারা এখান থেকে সেটা দেখে নিতে পারবে। আমার আগ্রহের বিষয়গুলো আমি এখানে শেযার করছি।

ওদের সারসংক্ষেপ হল – এবারই প্রথম ডেভেলপারদের পছন্দের তালিকায় ম্যাক লিনাক্সের ওপরে উঠেছে!

১. বিশ্বাস নাই অন্যের চিজে, সবই শিখি নিজে নিজে

দুই-তৃতীয়াংশ ডেভেলপারই বলেছেন তারা নিজে নিজেই শিখেছেন। এর পরই আছে কাজ করতে গিয়ে শেখা। এটি আমাদের দেশের প্রোগ্রামারও বলেন্যাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি তারা সবাই নিজে নিজে শেখার কথা বলেছে। নিজে নিজে শেখা বলতে আসলে কী বোঝায়? এ শুধু বই পড়া না। এ হলো একটি ৩৬০ ডিগ্রী প্রচেষ্টা।

যারা শুরু করছে তাদের দিয়ে ব্যাপারটা বোঝানো যেতে পারে। প্রথমে একটা দুইটা বই এমনিতে রিডিং পড়ে ফেলতে হবে, গল্প উপন্যাসের মতো, দ্রুত গতিতে। তারপর একটা মেইন বই ধরে শুরু করতে হবে।  একটা মেইন বই রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে একটা পার্টিকুলার রাস্তা ফলো করা। তারপর প্রতিটি চ্যাপ্টারের প্রতিটি বিষয় অনুশীলন করতে হবে। মানে যে প্রোগ্রামটা, সিন্যাক্সটা, লজিকটা দেখা হচ্ছে সেটা করে দেখতে হবে। এই সময় ঐ বিষয় নিয়ে ইউটিউবে খুঁজতে হবে ভিডিও, গুগল করে দেখতে হবে। তারপরও যদি খটকা থাকে তাহলে কোনো ফোরামে গিয়ে ঐ পরশ্নের উত্তর ঘাটতে হবে। এসব করেও কিন্তু কিছু ঘাটতি থেকে যাবে। তখন সেটাকে মার্ক করে পরের চ্যাপ্টারে চলে যেতে হবে।  আগের নিয়মে পরের চ্যাপ্টার দেখে আবার প্রথম চ্যাপ্টারে ফিরতে হবে। এর পাশাপাশি প্রোগ্রামার বন্ধুদের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে হবে। তাহলে ব্যাপারটা আর একটু আগাবে। এই হচ্ছে নিজে নিজে শেখা।

কম্পিউটার বিজ্ঞানে যারা পড়াশোনা করে তারাও এগিয়ে আছে। অনলাইন কোর্সের অবদানও বাড়ছে। যদিও অর্ধেকের কম ডেভেলপার আসলে সিএসই বা প্রযুক্তি লাইনে আন্ডারগ্র্যাড করেছে।

২. এখনো মেয়েদের সংখ্যা খুবই কম

সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে মেয়েদের সংখ্যা খুবই কম। মাত্র ৫.৮%। আর মেয়েদের মধ্যে যাদের বয়স কম তাদের সংখ্যা বেশি। অবশ্য আমেরিকাতে মেয়ে ডেভেলপারদের আয় কিন্তু ছেলেদের সমান!

৩. বেতন কিন্তু ভালই

এটার জন্য ছবিই যথেষ্ঠ! তবে, বেতন বিবেচনা করলে বোজা যায় পিএইচডি বা বড় অংকের টাকা খরচ করে প্রশিক্ষণ এ দুই এর চেয়ে নিজে নিজে আগানোই ভাল!

৪. সবাই এখন ওয়েবে!

অর্ধেকের বেশি ডেভেলপার আসলে ওয়েব ডেভেলপার। মোবাইল, ডেস্কটপ সব মিলে কিন্তু ১৫%। কাজে এখন আন্দাজ করা যায় কোন টেকনোলজি শীর্ষে!

৫. জাভাস্ক্রিপ্ট আর সিকুয়েল

জাভাস্ক্রিপ্ট আর সিকুয়েল হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় টেকনোলজি। ২০১৩ সালে যখন এই জরিপ শুরু হয় তখন থেকেই অবশ্য এই দুইটি শীর্ষেই আছে। তবে, সিকুয়েলের জনপ্রিয়তা সামান্য কমেছে নোসিকুয়েলের কারণে।

৬. ম্যাকই শীর্ষে

এই প্রথমবারের মতো ম্যাক উঠে এসেছে সবার উপরে।

আমাদের দেশে বেতন, বয়স ইত্যাদি নিয়ে এরকম কোন সার্ভে হয় কী? আমার জানা নাই।

যারা প্রোগ্রামিং নিয়ে এখন সিরিয়াসলি ভাবছে তাদের জন্য এই সার্ভেতে ভাবনার অনেক খোরাক আছে।

হ্যাপি কোডিং

 

 

 

 

One Reply to “প্রোগ্রামিং : বিশ্বাস নাই অন্যের চিজে, সবই শিখি নিজে নিজে”

  1. Wonderful web site. A lot of helpful information here.
    I am sending it to a few pals ans additionally sharing in delicious.
    And certainly, thank you to your effort!

Leave a Reply Cancel reply