ডেলিভারি হ্যাপিনেজ- ৮: শেখার আছে অনেক কিছু

আগের পর্ব স্কুলে থাকতে থাকতে আমি জিডিআই থেকে ভালো আয় রোজগার করেছি। কিন্তু আমি সবসময় আমার বোতাম ব্যবসার কথা ভাবতাম। আমার মনে আছে আমি কত উত্তেজনা নিয়ে ডাক হরকরার জন্য অপেক্ষা করতাম। আমি ভাবলাম, যে কোম্পানি থেকে আমি বোতাম তৈরির মেশিনটা কিনেছি তারা নিজেরাও এই ব্যবসা করতো। কারণ আমি তো বয়ে’জ লাইভ ম্যাগাজিন থেকে তাদের...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ-৭ : যত ধান্ধা তত টাকা

আগের পর্ব স্কুলে আমার একটা ধান্ধা ছিল কেমন করে বেশি টাকা কামানো যায়। লুকাস ফিল্ম আমাকে নিয়োগ দিল ভিডিও গেমস টেস্টার হিসাবে। আমি ঘন্টায় ৬ ডলার পেতাম ইন্ডিয়ানা জোনস এন্ড দ্যা লাস্ট ক্রুসেড গেম খেলার জন্য। এটি খুবই মজার কাজ কিন্তু দিন শেষে ঘন্টায় মাত্র ৬ ডলার।কাজে যখনই আরো বেশি দামের কাজ পেলাম আমি এটা...

ডেলিভারি হ্যাপিনেজ-৬ : মুনাফার সন্ধানে – প্রোগ্রামিঙের বাইরে

আগের পর্ব হাইস্কুলে আমার একমাত্র কাজ কিন্তু কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ছিল না। আমি ভাবলাম যতো বেশি বিষয়ে আগ্রহ পাবো তত আমার জন্য ভাল। কাজে নানান বিষয়ে আমি আগ্রহ খুঁজে বেরিয়েছি। বিদেশী ভাষার কোর্স নিলাম কয়েকটা – ফরাসী, স্প্যানিশ, জাপানী এমনকী লাতিনও। শরীর চর্চ্চা ক্লাসে আমি নিলাম তরবারি চালানো! (এটি সপ্তাহে মাত্র একদিন হতো, এটাও মনে হয়...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-৫: মোডেমের নতুন দুনিয়া

আগের পর্ব হাই স্কুলে আমার প্রথম দিন সবসময় স্মরণ করতে পারি। আমি ভেবেছিলাম সবকিছু একদিনে কেমন পাল্টে যাবে কিন্তু আমি যখন সেখানে গেলাম তখন সেরকম কিছুই দেখলাম না! অথচ আমি কিনা বড় হয়ে গেছি! হাইস্কুলে আমার একটা কাজ হল এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ানো। সেরকম একদিন স্কুল লাইব্রেরিতে ঘুরে বেড়ানোর সময় দেখলাম কোনায় একটি দরজা। আলাদা...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-৪: শুরুর শুরু!

আগের পর্ব : ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-৩: ব্যবসার শুরু! প্রাইমারি স্কুলে আমার জানি দোস্ত ছিল গুস্তাভ। আমরা প্রায় সব কিছুই একসঙ্গে করতাম। একজন অন্যজনের বাড়িতে যাওয়া, বাবা-মাদের সামনে গান-বাদ্য করা, পরস্পরকে সিক্রেট কোড শেখানো কী নয়! কোন একবার তার বাড়িতে গেছি। গুস্তাভ আমাকে একটা বই দেখাল-ফ্রি স্টাফ ফর কিডস। এই বইতে অসংখ্য অফার আছে যেগুলো...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-৩: ব্যবসার শুরু!

আগের পর্ব : ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-২: বেড়ে ওঠা আমি আমার নিজের নিউজলেটারের পরিকল্পনা করলাম। প্রায় ২০ পৃষ্ঠাজুড়ে থাকবে আমার লেখা গল্প, ধাঁধা আর কৌতুক।উজ্জ্বল কমলা রঙ্গের কাজগে আমি আমার নিউজলেটার প্রিন্ট করলাম আর নাম দিলাম দ্যা গবলার। দাম রাখলাম ৫ টাকা (ডলার)।আমি স্কুলে চার বন্ধুর কাছে পত্রিকা বিক্রি করতে পারলাম। এতে অবশ্য আমার হবে...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-২: বেড়ে ওঠা

আগের পর্ব -কেঁচোর খামার তাইওয়ান থেকে পড়ালেখা করার জন্য আমার বাবা আর মা ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন আলাদাভাবে্। সেখানেই তাদের সাক্ষাৎ এবং বিবাহ। যদিও আমার জন্ম ইলিনয়ে কিন্ত লাফানোর বোর্ডে লাফালাফি করা আর মশা মারার স্মৃতি ছাড়া আর সেখানকার কোন স্মৃতি আমার নাই। আমার যখন পাঁচ বছর বয়স তখন বাবা ক্যালিফোর্নিয়াতে চাকরি পান। আমরা চলে আসি...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-১: কেঁচোর খামার

প্রথমে তারা তোমাকে অগ্রাহ্য করবে, তারপর তারা হাসবে, এরপর তারা তোমার বিরুদ্ধে লড়বে, শেষমেষ তুমি জিতবে। – গান্ধী     আগের পর্ব আমি নিশ্চিত যে আমার যখন নয় বছর বয়স তখন আমার সম্পর্কে গান্ধীর কোন ধারণাই ছিল না। এবং আমিও আসলে জানতাম না গান্ধী কে! কিন্তু গান্ধী যদি জানতেন যে, কেঁচো বিক্রি করে আমি কোটিপতি...

ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – অবতরণিকা

রুম ভর্তি লোক। কোথাও কোন ফাঁকা নেই। আমি স্টেজে এই মবকে কিছু বলার জন্য হাজির হয়েছি। আমার সামনে জাপ্পোসের ৭০০ কর্মী। এদের কারো কারো চোখ দিয়ে অশ্রুও পড়ছে। সবার চোখে মুখে সুখ সুখ! এই অশ্রু আনন্দের। ৪৮ ঘন্টা আগেই সবাই সুখবরটা শুনেছে। আমাজান আমাদের অধিগ্রহণ করছে। বাকী বিশ্বের কাছে এটি একটি টাকার গল্প। এক বিলিয়ন...

ক্রাউডসোর্সিং-এর শক্তি

আমেরিকার হার্বার্ড ইউনিভার্সিটিতে যাদেরকে ভর্তি করানো হয় তারা মোটামুটি এক একটা বিশাল প্রতিভার অধিকারী। আগে একবার কোন একটা লেখায় মার্ক জাকারবার্গের ক্রাউডসোর্সিং পড়ালেখার একটা উদাহরণ দিয়েছিলাম। এবার আর একটা দেই। টনি সেই প্রায় সব কটা বিশ্ববিদ্যালয় মানে, ব্রাউন, বার্কলে, স্ট্যানফোর্ড, এমআইটি,প্রিন্সটন, কর্নেল, ইয়েল আর হার্বার্ড সবটাতেই ভর্তির সুযোগ পায়। তাঁর নিজের পছন্দ ছিল ব্রাউন কারণ...

ফেসবুকের গল্প-২ : গেরিলা কম্পিউটিং

আগের পর্ব ২০০৩ সালের সেপেম্বর মাসে মার্ক জাকারবার্গ হার্বার্ডের কার্কল্যান্ড হাউসের বাসিন্দা হতে আসে। এইচ৩৩ রুমটি ভবনের চারতলায়। মার্ক-এর সঙ্গে ছিল একটি আট ফুট দৈর্ঘ্যের হোয়াইট বোর্ড। যে কোন চিন্তাভাবনা করার সময় এবোর্ডটি তার সহায়! তার বিক্ষিপ্ত চিন্তা এই বোর্ডকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীভূত হয়। হাউসের স্যুটটি একটু জটিল। দরজা পেরোলে একটি কমন রুম। চারটি পড়ালেখার...

ফেসবুক ইজ নট বিল্ট ইন এ ডে

ফেসবুক কী জিনিষ সেটা এখন আর কাউকে নতুন করে বোঝানো লাগে না। বিশেষ করে যাদের ইন্টারনেট সংযোগ আছে। জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর বড়দেশ হচ্ছে চীন (১৬০ কোটি)। এর পরেই ফেসবুকের জনসংখ্যা মাত্র ১৩৫ কোটি! এর মধ্যে ৮৪ কোটি লোক দিনে অন্তত একবার ফেসবুক ব্যবহার করে। এরা প্রতিদিন পৃথিবীর সব মানুষের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারের ৬% সময়...

লাইক এ ভার্জিন

এপল, মাইক্রোসফট, কোকাকোলা, বিএমডব্লিউ, টয়োটা কিংবা স্টান্ডার্ড চাটার্ড – এগুলো বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মানসপটে একটি ছবি ফুটে উঠে যা দিয়ে ঐ ব্র্যান্ডকে চেনা যায়। কিন্তু যদি বলি ভার্জিন? তাহলে? কোনো একটা ছবি কি আমরা দেখি? দেখি না। কারণ ভার্জিন বললে আপনি কোলা বলছেন নাকি এয়ারলাইন, ক্রেডিডকার্ড নাকি মিউজিক, হেলথ ক্লাব নাকি ফাউন্ডেশন বলছেন সেটা...

উদ্যোক্তাদের জন্য সাবিরুলের ১০ টিপস

বিশ্ব তোমার পদতলে সাবিরুলের প্রথম বই যা তাকে ব্রিটেনজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে সাবিরুল এসেছিলেন বাংলাদেশে। সেই সময় তিন তার বই এর একটি কপি উপহার দের একজন বড় ব্যক্তিত্বকে। তাঁর টেবিলে বইটির দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকায় তিনি সেটি আমাকে পড়তে দেন। মোটামুটি সপ্তাহ দুয়েক লাগিয়ে সেটা পড়া শেষ করেছি। বইটি বাংলায় অনুবাদ হয়ে...

বিশ্ব তোমার পদতলে

তো, তুমি একজন উদ্যোক্তা? কোটি টাকা দামের হাসির সঙ্গে তোমার জবাব – হ্যা! তাহলে, যাও বেড়িয়ে পড় আর তোমার রূপকল্পকে বাস্তবে রূপ দাও। তোমার যদি কোন সাহায্য লাগে, বিশ্ব তোমার সঙ্গে আছে। আর সব বড় মাপের উদওক্তার মত তুমি নিজের তোমার প্রেরণা হও। অন্য তরুনরা তোাকে দেখুক আর বলুক- সে যদি পারে, আমি পারবো না...