আমি যেভাবে কাজ করি

[আবু বকর সিদ্দিক নামে এক তরুণ বেশ কয়েক বছর আগে আমার কাজ করার ধরন-ধারণ নিয়ে একটা দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। সেটির একটি লিংক আমার হোম পেজে রাখতে গিয়ে দেখলাম সাইটটি আর নেই। তখন ভাবলাম ঐ প্রশ্ন-উত্তরগুলো বরং আমার সাইটে থাকুক। এগুলো ২০১৪ বা ২০১৫ সালের প্রশ্ন-উত্তর।] আপনিতো গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক। BdMOC সম্পর্কে কিছু বলুন...

সুলতান মেডিকেল হোটেল

চল্লিশের দশকের চট্টগ্রাম। একটা ঘোড়া চালিত গাড়িকে শহরের সবাই চেনে। গাড়িটি তার  মূল সওয়ারির মতোই সমাদৃত। সকাল বেলা ঐ গাড়িতে করে দুইটি মেয়ে স্কুলে পড়তে যায়, চন্দনপুরায়। সেদিনও তারা রওনা হয় কিন্তু গাড়ি এখনকার সাবএরিয়া নামে পরিচিত জায়গায় পৌঁছাতেই কোচওয়ান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললো। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি চিৎপটাং, গাড়ির আরোহিনী দুই বালিকাসহ। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে শ’খানেক লোক...

যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়…

আগেই বলেছি ফার্স্ট ইয়ারে সব নতুনের সঙ্গে ছিল সিভিলের সার্ভে।  সিভিল বিল্ডিং-এর উচ্চতা মাইনাস হবে এটা আগে থেকেই জানতাম। সেকেন্ড ইয়ারে এসব কিছু ছিল না, ছিল রেফার্ড আর ইলেকট্রনিক্সের হাতে খড়ি। থার্ড ইয়ারে ওঠার পর মনে হল যাক এতোদিনে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ব্যাপারটা সামনে এসেছে। সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা বোধ করলাম মেশিন পড়তে গিয়ে। মেশিন ল্যাবে দেখলাম...

জ্বালোরে জ্বালো …

চট্টগ্রাম কলেজে যখন পড়তে আসি তখন দেশের পরিস্থিতি অন্যরকম। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে। আর তার দুইদিন আগে আমাদের মেট্টিকের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। কাজে ১৯৮২ সালের জুলাই মাসের শেষদিকে যখন চট্টগ্রাম কলেজে ক্লাশ শুরু করি তখন দেশ এক বিশ্ববেহায়ার কবলে। আমরাও তার খোঁজ খবর করিনা যে তা নয়। তবে, আমাদের...

মুসিলম হাই স্কুলের ভাঙ্গা ছাদ…

মুসলিম হাইস্কুলে মেট্রিক পরীক্ষা হতো। ফলে মার্চ মাসে আমরা একটা বাড়তি ছুটি পেতাম যেটা কেবল কলেজিয়েটওয়ালারা পেতো। যেহেতু পাড়ার অন্যরা তেমন পেতোনা তাই এই ছুটিটা ব্যতি্রমীভাবে কাটতো। আমি চলে যেতাম চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা দেখতে। হেটে হেটে যেতাম কারণ বাস বা রিকশাভাড়া কখনো পাওয়া যেত না। ১০টার দিকে বাসায় ভাত খেয়ে বের হতাম। তারপর বিকেলের...

আমার জীবনের লক্ষ্য?

চট্টগ্রাম মুসলিম হাই স্কুলে পড়ার সময় আমাদের একটা কাজ ছিল রাজনীতির খবর রাখা। সেটা আমরা কেন রাখতাম কে জানে? মনে হয় রাজনৈতিক উছিলায় হাফ ছুটি পাবার জন্য।  কোন উপলক্ষ আছে কী না এটা জানার জন্য প্রতিদিন সকালে পত্রিকা পড়াটা আমার অভ্যাস হয়ে যায়। আমি ছিলাম এ সেকশনে। ক্লাশ সিক্সের ক্লাশ টিচার ছিলেন ওয়াজিউল্লা স্যার। স্যার...

ফিজিক্স কেমিস্ট্রি ম্যাথ!!!

১৯৮৬ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি রাতের বেলায় আহসানউল্লাহ হলের ৪১৫ নম্বর রুমের রাস্তার পাশের খাটটাতে মশারী টাঙ্গানোর চেষ্টা করছি। কেয়ারটেকার জাফর সাহেব আমার খোঁজ নেওয়ার জন্য পিওন একজনকে পাঠিয়েছেন এবং তার সহায়তায় আমি মোটামুটি ঘুমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়বো। দরজা বন্ধ করে বাতি নিভাবো কি নিভাবো না এমনটা ভাবছি। পরে ভাবলাম থাক,...

Exit mobile version