বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক বা বিডিওএসএনের জন্মের কিছুকাল আগে থেকে আমার লিনাক্সে হাত খড়ি। সেটি বুয়েটের সিস্টেম এডমিনের দায়িত্ব নেওয়ার পর, ২০০১ সালে মনে হয়। বেশ কিছু ডিস্ট্রো চেক-টেক করে আমি মোটামুটি রেডহ্যাটে আমার সার্ভারগুলো সাজিয়েছি এবং সারাক্ষণই যেন এই এনভায়নমেন্টে থাকতে পারি সে জন্য নিজের ডেক্সটপেও একই ডিস্ট্রো এড করেছি। কিন্তু ২০০৪ সালে বিডিওএসএনের জন্মের সময়ে আমরা এক সিডিতে এক ডিস্ট্রো খুঁজতে শুরু করি। সেই সঙ্গে এমন কিছু যা সার্ভার নয, সাধারণ মানুষের কথা ভেবে তৈরি। আর তখনই আমরা উবুন্টুর কথা জানতে পারি এবং বিডিওএসএনের পছন্দের ডিস্ট্রোর তালিকায় এসে পড়ে উবুন্টু। সেই থেকে প্রায় এক দশক আমরা উবুন্টুর প্রতিটি নতুন ডিস্ট্রো রিলিজ উদযাপন, সিডি রেকর্ড করে ছড়িযে দেওয়া ইত্যাদি করেছি। কালক্রমে ডিস্ট্রো ডিস্ট্রিবিউশন করার কাজটা আর আমাদের করতে হয় না, কারণ আগ্রহীরা নেট থেকে সেটা নামিয়ে নিতে পারে। ফলে, এ কাজে আমাদের ভাটাও পড়ে গেল। আমদের মূল মেইলিং লিস্টে আলোচনার পাশাপাশি নির্দিষ্ট একটি ইমেইল গ্রুপ থেকে নতুন ব্যবহারকরীদের সাপোর্ট দিয়েছি। শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ের ব্যবহারকারী তৈরী করা নয়, বরং সরকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ব্যবহার বাড়াতে আমরা তখন অনেক কাজ করেছি।
এসব কথা আমার মনে পড়েছে কয়েকদিন আগে আমাদের নাসির খান সৈকতের “সবার জন্য উবুন্টু” বই-এর মোড়ক উন্মোচনের জন্য। আমি যেহেতু মেলায়ে যেতে পারছি না তাই লেখক আর প্রকাশক এসেছে বিডিওএসএন অফিসে। বলা বাহুল্য, এ বই-এর মোড়ক আর কোথায় বা উন্মোচিত হতে পারে।
বিডিওএসএন এর প্রথমদিকের সাপোর্ট গ্রুপ থেকে থেকে শুরু করে পবর্তী কালে উবুন্টু নিয়ে সক্রিয় ছিল নাসির খান সৈকত। ওয়েবসাইট, ব্লগ এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে লেখালেখির পাশাপাশি কয়েক ফর্মার একটি বুকলেট বিনামূল্যে বিতরণ করা হতো। সেই ছোটো বুকলেটটি এখন পূর্ণাঙ্গ বই হিসাবে প্রকাশ করেছে নাসির। “সবার জন্য উবুন্টু” নামের বইটি প্রকাশ করেছে দ্বিমিক প্রকাশনী।
“সবার জন্য উবুন্টু” বইটি লেখা হয়েছে উবুন্টু ব্যবহার শুরু করতে চাচ্ছে, অথবা কিছু দিন থেকে ব্যবাহর করে আসছে এমন সকলের উদ্দেশ্যে। সাধারণ বিষয়গুলো যেমন, উবুন্টু ইনস্টল করা, দৈনন্দিন কাজের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন পরিচিতি, উবুন্টুতে বাংলা লেখার পদ্ধতি, কমান্ড ব্যবহারসহ আরও বিভিন্ন বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। বইয়ের একটি অংশ জুড়ে রয়েছে উবুন্টুতে কিভাবে প্রোগ্রামিং করা যায়, C/C++, Python, Java, PHP ইত্যাদির জন্য এনভাইোরনমেন্ট সেটআপ থেকে শুরু করে হ্যালো ওয়ার্ল্ড পর্যন্ত আবার প্রয়োজনীয় আইডিইগুলোর কথাও উল্লেখ আছে।
বইয়ের পাশাপাশি প্রসঙ্গিক বিভিন্ন তথ্য প্রকাশের জন্য এই ওয়েব সাইট তৈরী করা হয়েছে।
বইমেলার দ্বিমিক প্রকাশনীর স্টল পাওয়া যাচ্ছে বইটি । দ্বিমিকের স্টল নম্বর ১৯, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে পুকুরের কাছে খুজেতে হবে স্টলটি।
Spread the love“হরিচরণবাবু বলিলেন – এই দেখ। তোমার বয়সে আর আমার বয়েসে – খুব বেশি তফাৎ হবে না। তোমারও প্রায় পঞ্চাশ হয়েছে। না হয় এক আধ বছর বাকি। কিন্তু তোমার জীবনে উদ্যম আছে, আশা আছে, মনে তুমি এখনও যুবক। কাজ করবার শক্তি তোমার অনেক বেশি এখনও। এই বয়সে বম্বে যাচ্ছ, শুনে হিংসে হচ্ছে হাজারি। বাঙ্গালির30
Spread the loveপিয়েরে (পারভিজ) মোরাদ অমিডিয়ারের জন্ম ফ্রান্সের প্যারিসে যদিও তার আদি বাড়ি ইরানে। ছোটবেলাতে ডাক্তার বাবা ও শিক্ষক মায়ের সঙ্গে আমেরিকাতে চলে যাওয়া। পড়ালেখা করে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে কাজকর্ম করে। ব্যবহৃত, ভাঙ্গাচোরা ও সেকেন্ডহ্যান্ড জিনিষপত্র যোগাড় করা তার শখ। কিন্তু এমন সব জিনিষের খোঁজ পাওয়া মুশ্কিল। তখন ভাবলো একটা ওয়েবসাইট বানাই ফেলি। তাহলে যারা30
One Reply to “আমার বইমেলা ২০১৯-৬: সবার জন্য উবুন্টু – আবারও শুরু হোক”