কাজের জিনিস বানায় যারা

Spread the love

২০১১ সালের কোন এক সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে নানান আয়োজন ছিল। ছিল সিএসই শিক্ষার্থীদের প্রজেক্ট ডিসপ্লেও। সেখানে প্রথম আমি ওদেরকে দেখি। বাংলা ল্যান্সার নামে একটা মার্কেট প্লেসের পরিকল্পনা করেছে। তবে, সেটা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি সেই অর্থে। কিন্তু তাতে তাদের দমার কথা নয়। এরপর ওরা শুরু করে নিজেদেরই প্রোডাক্ট বানানোর কাজ। কাজের ফাঁকে ফাঁকে পড়ালেখা। এর মধ্যে ভার্সিটিতেও ওদের কাজের খবর কিছুটা চাওর হয়। ঠিক মতো ক্লাস করতে পারে নাই, পর্যাপ্ত হাজিরা নেই – এই অজুহাতে ওদের একজনের ফাইনাল পরীক্ষা দিতে দেয়নি ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। এক বছর অপেক্ষা করে ডিগ্রী সম্পন্ন করতে হয়েছে তারেককে। এর মধ্যে নিজাম আর তারেক মিলে গড়ে তুলেছে তাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান Wedevs । কিছু কাজের জিনিষ বানায়। ওদের ওয়েব সাইটে গেলে সেগুলো সম্পর্কে জানা যাবে। তাই আমি এখানে লিখছি না।
ওদের বানানো ওয়ার্ডপ্রেসের একটা প্লাগ-ইন প্রায় ৭০ হাজার কপি ডাউনলোড হয়েছে। সেটা ফ্রি! আর সেটারই একটা প্রিমিয়াম ভার্সন আছে যার ডাউনলোড সংখ্যাও কম নয়। এটির গড়পড়তা দাম মাত্র ৪৯ ডলার।
ঢাকার মোহাম্মদুপুরের ছোট্ট পরিসর থেকে ওরা এখন উঠে এসেছে ধানমন্ডি ১৩ নম্বরের ২২০০ বর্গফুটের অফিস। আমি আর  অন্যরকম গ্রুপের সোহাগ  গত শনিবার গিয়েছিলাম ওদের নতুন অফিসে। ওরা তাদের অফিস চালু করেছে, নতুন উদ্দীপনায়, নতুন আনন্দে। সৃষ্টির আনন্দ। এখন নানান প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। সামনে আরো কিছু ভাল প্রোডাক্ট ওরা দেবে নিশ্চয়ই।
ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন আড্ডায় আমি বললাম নিজের প্রোডাক্ট বানানোতে ঝাপিয়ে পড়তে। সেই পথ ধরে এখন কয়েকজন নেমে পড়েছে। থিম ফরেষ্টে কাউসারদের সঙ্গে এখন আমাদের এনায়েত হোসেন রাজীবের-এর মতো কয়েকজন যোগ দিচ্ছেন। আমাদের সবুজ কুন্ডু তার কোডবক্সার নিয়ে  এবং তার মত কয়েকজন জুমলা প্লাগ-ইন নিয়ে ব্যস্ত।
আরো অনেক তরুন কাজ করছে নতুন নতুন ক্ষেত্রে। কেও বা কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন করছে, কেও এক্সপ্লোর করছে ডিজিটাল মার্কেটিং-এর নতুন জগৎ। আমার সানি আর বিপ্লবের মত কেও কেও মোবাইল এপস নিযে ব্যস্ত বিপ্লবের ধারণা মাত্র ৫ বছরেই দেশটাকে ান্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়া যেত যদি কিছু সুযোগ পাওয়া যেত!

কেবল আইটি খাতে নয়। নানান ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী সব আইডিয়া নিয়ে এগিযে আসছে আমাদের নতুন প্রজন্ম। চট্টগ্রামে একটি গ্রুপে চাকরি করতো, শাবিপ্রবি তেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়া শারমিন রাবেয়া। কোন কুক্ষণে বেচারির সঙ্গে দেখা হয়েছে আমার আর এখন সে গড়ে তুলেছে তার নিজের জামদানীর প্রতিষ্ঠান। তার রূপকথা জামদানী চট্টগ্রামের প্রথম জামদানীর স্টোর!

আমার কেবল মনে হয়. শুধু যদি ওদের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ, কিছু এনজেল ইনভেস্টর অথবা শুধু যদি নিরবচ্ছি্ন্ন দ্রুত-গতির ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করতে পারতাম তাহলেই ওরা আমাদের দেশকে ঠিক রাস্তায় চালিয়ে নিয়ে যেত আর আমরাও নিশ্চিন্তে থাকতাম –

যতদিন তোমাদের হাতে দেশ
পথ হারাবেনা বাংলাদেশ।!

সকল তরুনের সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।

#Uddokta

One Reply to “কাজের জিনিস বানায় যারা”

  1. This was a great day when I met my dearest guardian Munir Hasan sir , Our Uddokta group makes today’s sharmin who was just a servant at PHP company, Though my previous company gave me a handsome salary, but I dint feel any happiness, and i was not free at all.Now I feel so proud whenever I think that I can do anything , I enjoy my work, I love my work and At last i want to say that, if I can stay with such great people like you; i can take myself to a next height.

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version