সায়েন্স কার্নিভ্যাল : বিজ্ঞান জয়ের উৎসব

Spread the love

সায়েন্স কার্নিভাল হচ্ছে সিটি ব্যাংক প্রথম আলো বিজ্ঞান আয়োজনের ইংরেজি নাম। এর একটি বাংলা নামও হবে সেটা অচিরে আমরা ঘোষণা করবো। তবে, নাম যাই হোক কার্যক্রম গুলো বরং আমরা জেনে নেই-

১. আঞ্চলিক বিজ্ঞান প্রকল্প মেলা – মোট ১৫টি স্থানে আঞ্চলিক প্রকল্প মেলা হবে। মেলাতে বিজ্ঞান প্রকল্প প্রতিযোগিতা হবে দুইট ক্যাটাগরিতে-

ক, জুনিয়র : যারা এখন ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী, আর

খ. সিনিয়র : যারা দশম থেকে এইচএসসি পরিক্ষার্থী।

মোট চারটি বিষয়ের যে কোন একটি বিষয়ে প্রকল্প জমা দেওয়া যাবে-

  • ভৌত বিজ্ঞান
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
  • জীববিজ্ঞান
  • কৃষি ও পরিবেশ

আঞ্চলিক অনুষ্ঠান হবে একদিনের। দিন শেষে পুরস্কার বিতরণী হবে।

২. জাতীয় পর্যায় : ১৫টি আঞ্চলিকের বিজয়ীরা জাতীয় পর্যায়ে যোগ দেবে। এখানে বাড়তি থাকবে সায়েন্স ম্যাগাজিন ও দেয়াল পত্রিকা প্রতিযোগিতা।

বিজয়ীদের জন্য পুরস্কারতো থাকবে। বাড়তি থাকবে একজন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীর সঙ্গে ডিনার করার সুযোগ।

৩. বিজ্ঞান ফেলো – সারাদেশের বিজ্ঞানের কর্মকাণ্ডকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একজন বিজ্ঞান ফেলো সারাবছর কাজ করবেন। তিনি কয়েকটি গণ-গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন পাশাপাশি কয়েকটি নির্বাচিত গ্রামীণ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের পাঠ দেবেন।

৪. নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানীর সফর হবে যেখানে তিনি দুইটি বক্তৃতা দেবেন। একটি শিশু কিশোরদের উদ্দেশ্যে আর একটি ইয়ং বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে। এ ছাড়া তিনি বিজ্ঞান প্রকল্প মেলার টপ কয়েকজন তাঁর সঙ্গে ডিনার করতে পারবে।

এবার দেখা যাক প্রকল্পগুলোকে কেমন করে যাচাই করা হবে। মূলত দেখা হবে সেখানে বিজ্ঞান আছে কী না। সেটা কীরকম?
বিজ্ঞান হচ্ছে পর্যবেক্ষণ, মাপামাপি। যেমন কেও যদি আলু থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করে তাকে বিদ্যুত প্রবাহ মেপে দেখাতে হবে। কেও যদি একটা বাক্স ফ্রিজ তৈরি করে তাহলে তাকে বলতে হবে ভিতরের তাপমাত্রা কত?
কতগুলো কাগজ, বাক্স পেটরা এসব দিয়ে যারা কোন সুন্দর শহরের মডেল বানিয়ে আনবে তাদেরকে আমরা কোন উৎসাহ দিতে চাই না। মডেলের ব্যাপারটা খুব একটা উৎসাহিত করা হবে না।  ভবিষ্যতে কী কী হবে এটার একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন বানায় আনলে কোন লাভ হবে না। পাওয়ার পয়েন্টের জন্য বাড়তি কোন নম্বর পাওয়া যাবে না। পয়েন্ট পেতে হলে প্রজেক্টটা কাজ করতে হবে। অথবা কেন কাজ করছে না সেটা ব্যখ্যা করতে পারতে হবে।

যে সমস্ত প্রকল্প শূণ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে কিংবা একবার চালিয়ে দেওয়ার পর চলতেই থাকবে সেগুরোর কোন আশা নাই। শক্থির নিত্যতা সূত্র, তাপগতি বিদ্যার দুইটি সূত্র না মেনে যে সব প্রকল্প বানানো হবে সেগুলোর ব্যাপারে আমি কোন গ্যারান্টি দিতে পারবো না।
একা বা সর্বোচ্চ তিনজনের একটা টিম হতে পারবে।
আগেভাগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের একটা অংশ অনলাইনে হবে আর একটা অংশ হবে যেখানে হবে সেখানে।
কিছু নমুনা প্রজেক্ট বানানোর ভিডিও কিংবা লেখা আমরা প্রথম আলোতে প্রকাশ করবো। কাজে সেখানেও নজর রাখতে হবে।

২০১৭ সাল থেকে আমেরা প্রকল্প পাঠাতে চাই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। সেখানে যেভাবে বিচার কার্য হয় আমরা ঠিক সেভাবেই এখানে শুরু করবো।
এই কার্যক্রমের একটা ওয়েবসাইট চালু হবে সহসা। এরই মধ্যে একটি ফেসবুক পেজ চালু হয়েছে। খবরাখবরের জন্য সেখানে নজর রাখা যাবে।

তো হয়ে যাক তাহলে!

 

 

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version