বছর জুড়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এর নানা আয়োজন

Spread the love

বিডিওএসএন থেকে এবছরটা আমরা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এ সবিশেষ জোর দেবো। এজন্য এবছরটাকে আমরা পালন করছি বিডিওএসএন প্রোগ্রামিং বছর ২০১৬ হিসাবে। এই আয়োজনের নেপথ্যের বিষয়গুলো এখানে লিখেছি। এখন পর্যন্ত যে সব আয়োজনের কাজ শুরু হয়েছে সেগুলোর কিছু ধারণা এখানে দিচ্ছি।

এখানে বলে রাখা ভাল জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা যা কীনা বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজন করেছে তার সঙ্গেও বিডিওএসএন সরাসরি যুক্ত আছে।

বছর জুড়ে যত আয়োজন

একেবারে প্রাইমারি থেকে ফ্রেশার পর্যন্ত সবার জন্য নানান আয়োজন থাকবে। কনটেস্ট, কর্মশালা, জব সিলেক্ট ট্রেনিং, ক্যাম্প, কোড স্প্রিন্ট – কী নয়। কয়েকজনকে ফুসলিয়ে বইও লিখিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছেে। এবারের সিএসই উইকও এটার মধ্যে ঢুকে যাবে। যে আয়োজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হলো –

  • বেসিক প্রোগ্রামিং কর্মশালা : এটি বিভিন্ন জেলায় হবে, হাতে কলমে। কিছু পার্টনারদের সঙ্গে, কিছু নিজেরাই। সি বা পাইথনের বেসিক নিয়ে এসব আয়োজন হবে। এগুলো অংশগ্রহণমূলক হবে যাতে প্রকৃত আগ্রহীরা যোগ দিতে পারে।
  • কর্মশালা : এসব কর্মশালার সাধারণ উদ্দেশ্য হবে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কেন দরকার, কেন সবারই এদিকে নজর দেওয়া উচিৎ, এমনকী প্রোগ্রামার না হলেও প্রোগ্রামিং-এর ব্যাপারটা মাথায় থাকলে কী লাভ ইত্যাদি। সঙ্গে কোন কোন বই পড়া উচিৎ, ইন্টারনেটে কোথায় রিসোর্স পাওয়া যায় ইত্যাদি।
  • অনলাইন ফোরাম :  অনলাইনে বাৎচিৎ করার জন্য জায়গা। একটা টেলিফোন হটলাইনও করা হতে পারে।
  • মেয়েদর জন্য বুট ক্যাম্প : এরকম আবাসিক ক্যাম্প হবে দুইটা। একটা হাইস্কুলের জন্য এবং অপরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য।
  • মেয়েদের জন্য প্রোগ্রামিং কনটেস্ট প্রস্তুতি ক্যাম্প: এটা আসলে মেয়েদেরকে প্রোগ্রামিং কনটেস্টে অংশ নেওয়ার জন্য উদ্বুত্ত করণের একটা প্রচেষ্টা। দেখা যাচ্ছে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের সংখ্যার তারতমও এখ্যানে অনেক।
  • প্রোগ্রামিং আড্ডা : এটি মূলত সেরাদের সঙ্গে নতুন ও আগ্রহীদের একটা আড্ডা। এর প্রথমটি হবে আগামী শুক্রবার ২৬ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। এটিতে থাকবেন ঝংকার মাহবুব।
  • প্রোগ্রামিং ইশকুল : গবছর আমরা একটা পাইথনের বুট ক্যাম্প করেছিলাম। ক্রাশ কোর্স আরকি। এটা হরো তারই এক্সটেনশন। মানে বিভিন্ন বিষয়ে মোটামুটি হাড়-কাপানো ক্রাশ কোর্স। পাইথন খেকে এইচটিএমএল-সিএসএস হয়ে এখানে মাইক্রোপ্রসেসর বেজড প্রোগ্রামিং থাকবে। এগুলোর প্রি-রিকুইজিট থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেসের দিকের, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট এবং চাকরীজীবীরাও এটা করতে পারবে। কোর্স শেষে চাকরির ইন্টারভিউ থাকবে এবং হয়ে গেলে নিয়োগপত্র।
  • ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (এসজিপিসি) : কেবল মেয়েদের জন্য প্রোগ্রামিং কনটেস্ট। ২০১৫ সালের ৬৭টি টিম ছিল। এবার এটি ১০০+ হবে আশা করা যায়।
  • ন্যাশনাল প্রাইমারি প্রোগ্রামিং কনটেস্ট – এটাতে খুদের ফান বেজড প্রোগ্রামিং কনটেস্ট। প্রথমে গোটা দশেক কর্মশালা করা হবে তারপর ফাইনাল কম্পিটিশন।
  • অনলাইন কনটেস্ট ও প্রযাকটিস কনটেস্ট হবে নিয়মিত।
  • আওয়ার অব কোড হবে ১০০ জায়গায়।
  • কোড স্প্রিন্ট : এটা হল বেশ কিছু প্রোগ্রামার এক জায়গায় জড়ো হয়ে কয়েকটা টিমে ভাগ হয়ে একটা রিয়েল লাইফ প্রোজেক্ট কমপ্লিট করবে।

এসব ছাড়াও আমাদের প্রোগ্রামারদের সমাবেশ, পাইকন (দ্বিমিকের সঙ্গে), বই, ভিডিও টিউটোরিয়াল (দরকার হলে), ১৩ পর্বের একটা টিভি অনুষ্ঠান ইত্যাদির পরিকল্পনা আছে।

টাকা কই পাবো – আমার ধারণা কেও কেও স্পন্সর হতে রাজী হবেন। না হলে আমরা প্ল্যান-বি ধরে আগাবো। স্পন্সর বা পার্টনার হতে আগ্রহীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

আশা করি, একটা দুর্দান্ত বছর আমরা কাটাতে পারবো।

আল্লাহ ভরসা।

 

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version