এনজিপিসির সবাইকে অভিনন্দন

Spread the love

আল্লাহর অশেষ রহমতে আজকে খুবই অসাধারণভাবে ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ২০১৫ সম্পন্ন হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। শুরুতে আমরা ভেবেছিলাম ২০টা টিমও হবে না। সেখানে আজকে ৬৩টি টিম অংশ নিয়েছে। শুধু তাই নয়, সবাই অন্তত একটা করে প্রবলেম সলভ করেছে।

সকালে কনটেস্ট চলাকালীন সময়ে কে যেন এসে বললেন, ঢাকার বাইরের জন্য একটা আলাদা স্ট্যান্ডিং করলে ভাল হবে। দিন শেষে ঔ কথার কোন দাম পাওয়া গেল না। কারণ বিজয়ীর মুকুট পড়েছে শাবিপ্রবির তিন ছাত্রী। অন্য কিছুর আগে বরং বিজয়ীদের চিনে নেওয়া যাক।

চ্যাম্পিয়ান হয়েছে শাবিপ্রবির সাদিয়া তাসনিম স্বর্ণা, নিশাত তাসনিম আহমেদ মীম ও নাফিসা নওশিন (সাস্ট টুইংকল), ফার্স্ট রানার আপ হয়েছে চুয়েটের সুমাইয়া আখতার, সাবেরা জামিলা ও মিফতাহুল জান্নাত মোকাররমা (চুয়েট স্পার্কলস) এবং সেকেন্ড রানার আপ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবরিনা জামান ইশিতা, ফারিহা মুমতাহিন উপমা ও মালিহা তাশফিয়া ইসলাম (ডিউ_টিম১)। এচাড়া হাইস্কুল ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উদয়ন স্কুল, ভিকারুন্নিসা স্কুল ও এসওএস হারম্যান মেইনারের  সাদিয়া আরেফিন হক, মরিয়ম আখতার ও সামিউন ফাতিহা (কোড উইজার্ড)। এছাড়া সুদূর নেত্রকেেণা থেকে আসা ১০ ও ১১ বয়সের তিন খুদে প্রোগ্রামার বিয়াম ওয়েসিস স্কুলের ইপ্সিতা জাহান, খন্দকার জেবা রেজওয়ানা ও নাফিসা ইসলাম কল্প। ওরা সবার মনও জয় করে নিয়েছে।

নেত্রকোণার তিন কন্যা। পেছনে লাফিফা

আমাদের বাজেট কম, সাধ্য কম তাই প্রাইজমানিও ছিল কম। সেটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন গ্লোবাল ব্র্যান্ডের কর্ণধার আবদুল ঢাত্তাহ ভাই। গ্লোবাল ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার্স আপ ও নেত্রকোণার দলটিকে যথাক্রমে ১৫, ১০ ও ৫ হাজার টাকার পুরস্কার দিয়েছেন।

তিন ঘন্টায় করার জন্য ৬টি সমস্যা দেওয়া হয়েছে। ৪টি করে সমস্যার সমাধান করেছে ৪টি দল। সম্পূর্ণ রেংকলিস্ট দেখা যাবে এখানে

কেবল মেয়েদের জন্য একটি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা করার কথা আমার মাথাতে ঘুরপাক খাচ্ছে বেশিদিন ধরে নয়। মূলত কয়েকমাস আগে আমি গভীর হতাশার সঙ্গে লক্ষ করি আমাদের প্রোগ্রামিং, ম্যাথ, ফিজিক্স ইত্যাদি দলে মেয়েদের কোন প্রতিনিধিত্ব নেই। তখন থেকে আমরা “মিসিং ডটার” নামে একটা কার্যক্রম শুরু করি। প্রথমে নিজেরা আলাপ আলোচনা, তারপর ফেসবুকে কানাঘুষা করার পর বৃষ্টির হাত দিয়ে মেয়েদের জন্য এলগরিদম বিষয়ক কর্মশালা, কোড ইট গার্লের সঙ্গে। তারপর নোভার মাধ্যমে আরো কিছু আলাপ এবং এবার এসিএম আইসিপিসি ঢাকা রাউন্ডের সময় অল গার্লস টিমের জন্য বাড়তি সুবিধা। এর মধ্যে নভেম্বর মাসের শুরুতে আমি কথাটা পাড়ি বিসিসির নির্বাহী পরিচালকের কাছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে রাজী হয়ে যান। তারপর  ড্যাফোডিলে বলা এবং মাহমুদের কোডমার্শাল। এসবের সঙ্গে এবারের আওয়ার অব কোডও আছে।
শেষমেষ এনজিপিসির জন্য আমরা ক্যাম্পেইন শুরু করলাম। এবং শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকও বন্ধ হয়ে গেল। তবে, আমরা ফেসবুক আগের যুগে ফিরে গেলাম। মাহমুদ একটা চিঠি লিখলো সব কোচের কাছে, আমি লিখলাম সিএসই হেডদের কাছে। একটা হার্ডকপি চিঠিও পাঠালাম। নাসির খান আমাদের একটা ইভেন্ট সাইটও বানিয়ে দিল। আর তাই দিয়ে আমরা গণমাধ্যমের সহায়তায় প্রায় সবার কাছেই পৌছাইতে পারলাম। তার প্রমাণ হল ৬৪টি দলের নিবন্ধন এবং ৬৩টি দলের যোগদান।
আজকের আয়োজন নিয়ে আমি আরোবিস্তারিত লিখবো। তবে, আজকে কেবল সকল অংশগ্রহণকারী, তাদের কোচ, শিক্ষক, অভিভাবকদের জন্য কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা।

সেই সঙ্গে আমাদের মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর প্রতিও আমাদের কৃতজ্ঞতা। সচরাচর তিনি শনিবার নিজ এলাকায় থাকেন। আজ এই অনুষ্ঠানে এসে আমাদের সবাইকে অণুপ্রাণিত করে গেলেন।


সবার জীবন পাই-এর মত সুন্দর হোক।    

 

One Reply to “এনজিপিসির সবাইকে অভিনন্দন”

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version