ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-৩: ব্যবসার শুরু!

Spread the love

আগের পর্ব : ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-২: বেড়ে ওঠা

আমি আমার নিজের নিউজলেটারের পরিকল্পনা করলাম। প্রায় ২০ পৃষ্ঠাজুড়ে থাকবে আমার লেখা গল্প, ধাঁধা আর কৌতুক।উজ্জ্বল কমলা রঙ্গের কাজগে আমি আমার নিউজলেটার প্রিন্ট করলাম আর নাম দিলাম দ্যা গবলার। দাম রাখলাম ৫ টাকা (ডলার)।আমি স্কুলে চার বন্ধুর কাছে পত্রিকা বিক্রি করতে পারলাম।
এতে অবশ্য আমার হবে না। আমার টাকা কামাই-এর সোর্স বাড়াতে হবে। হয় বেশি বন্ধুর কাছে পত্রিকা বেঁচতে হবে নতুবা নতুন কিছু করতে হবে। এর পর যেদিন আমি সেলুনে চুল কাটাকইতে গেলাম তখন নামিতকে রাজী করানোর চেস্টা করলাম যেন আমার পত্রিকয় সে একটা পূর্ণ পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন দেয়।২০ টাকায় পূর্ণ পৃষ্ঠার একটি বিজ্ঞাপন দিতে রাজী হয়ে গেল!

আমারে আর পায় কে। আমি যদি আরো ৪টা এরকম বিজ্ঞাপন পাই তাহলে আমার আয় হয়ে যাবে ১০০টাকা! কাজে আমি পাড়ার সব দোকানে গেলাম। নাপিতের কথা বললাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আর কেও বিজ্ঞাপন দিতে রাজি হল না!

যাহোক কয়েক সপ্তাহ পর আমি দ্বিতীয় সংখ্যা বের করলাম এবং মাত্র দুই কপি বিক্রি করতে সক্ষম হলাম!

আমি ঠিক করলাম এই কাজে পোষাবে না। আমার বন্ধুদের টিফিনের টাকা কমে যাচ্ছে!
আমার পত্রিকা ব্যবসার এখানেই ইতি!

 

আমি আর আমার ভাই এন্ডি নিয়মিতভাবে বয়েজ লাইফ পড়ি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাজা ভাজা করে ফেলি। আমার প্রিয় অংশ হল শেষের দিকের ক্লাসিয়ায়েড বিজ্ঞাপনগুলো। সেখানে থাকতো এমন সি জিনিষের বিজ্ঞাপন যা আমি আগে কখনো ভাবিনি।আর মজার কথা হল সেগুলো ছিল সব অর্ডারি মাল। মানে ডাকযোগে টাকা পাঠিয়ে সংগ্রহ করা যেত (১৯৮০ সালে ইত্তেফাকেও এমন অনেক বিজ্ঞাপন ছাপা হতো)। একবার সেখানে একটি কিটের বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে যা দিয়ে একটা ভ্যাকুয়াম ক্লিনারকে হোভার ক্র্যাফটে পরিণত করা যায়।

তবে, আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত এবং চমকিত হতাম শেষ পাতার বিজ্ঞাপনে। যেমন সেখানে থাকতো কোন কোম্পানির শুভেচ্ছা বা ক্রিসমাস কার্ড বিক্রি করে দেওয়া। কাজটা খুব সোজা, কার্ড নিয়ে বাসায় বাসায় গিয়ে সেগুলো বিক্রি করা। যত বিক্রি তত পয়েন্ট। আর শেষে পর্যাপ্ত পয়েন্ট জমলে সেটা দিয়ে মনের মত খেলনা পাওয়া যায়।
আমার সামার ভ্যাকেশন চলছে কাজে আমি দ্রুত ওদেরকে লিখলাম কিছু স্যাম্পল আর ক্যাটালগ পাঠাতে। আমি একটা বাড়িতে গেলাম। প্রথম যে মহিলা দয়া পরবশ হয়ে দরজা খুললেন তাকে আমি স্যাম্পল আর ক্যাটালগ দেখালাম। উনি সব শুনে বললেন – ব্যাপারটা ভাল এবং তিনি অবশ্যই গ্রিটিংস কার্ড কিনতে চান। তবে, মুশ্কিল হচ্ছে ক্রিসমাস হচ্ছে ডিসেম্বরে আর এখন আগস্ট!
তার কথা শুনে আমি বুঝলাম আমি কতোটা বোকা! আমি গরমকালে শীতকালের ওয়াজ করার চেষ্টা করছি!!!
কাজে আমি আর কোন ঘরে গেলাম না। নিজের বাসায় ফিরে আসলাম।

এভাবে হবে না। আমাকে কার্যকর কিছু একটা বের করত হবে।

 

পরের পর্ব – শুরুর শুরু

2 Replies to “ডেলিভারিং হ্যাপিনেজ – মুনাফার সন্ধানে-৩: ব্যবসার শুরু!”

Leave a Reply Cancel reply

Exit mobile version