বইমেলার বই ১৪ : “পড়ো, পড়ো, পড়ো” – “আঁকো, আঁকো, আঁকো” – “করো, করো, করো”।
সেদিন আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলর দিপু সরকার এসে তার দুইটা বই দিয়ে গেছে। তার মধ্যে জ্যামিতির যতো কৌশল বইটা নিয়ে আমি বেশ সময় কাটিয়েছি। আমি নিজেই জ্যামিতির প্রথম পাফ নামে দুই খনএর জ্যামিতির একটা বই লিখছি। অন্য সব বই-এর মতো আমার এই বইটা লিখতেও কমপক্ষে ২/৩ বছর লাগবে। তো, আমি দেখলাম দিপু আর অনুপম খুব সহজভাবে কঠিন সব কৌশল এখানে বর্ণনা করে দিয়েছে। এখন আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, আমার বিখ্যাত আলসেমির জন্য যদি জ্যামিতির প্রথম খন্ড দুই পর্ব বাজারে না আসে লোকে তাহলে আমাকে আর বকা দিতে পারবে না।
বইটার শুরুতে খানিকটা জ্যামিতির ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মিশর, গ্রীস বা ভারতবর্ষের জ্যামিতির ইতিহাস আলোচনার মাধ্যমে প্রথম অধ্যায়ের শুরু। এরপর প্রাচীন যুগের জ্যামিতি, মধ্যযুগের জ্যামিতি ও আধুনিক যুগের জ্যামিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এরপর খুবই সাধারণ আলোচনার মাধ্যমে স্বীকার্যগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে যেসব ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী ভুল করতে পারে সেগুলো আলাদা করে ভুল সমাধান হিসেবে দেখানো হয়েছে। ফলে একজন সহজেই সমস্যা সমাধানের সময় সতর্ক থাকতে পারবে। বইটিতে ত্রিভুজ সম্পর্কিত সকল আলোচনাই করা হয়েছে। যেমন – ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল, পরিসীমা, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, সর্বসমতা, সদৃশতা সবশেষে আলোচনা করা হয়েছে ত্রিকোণামিতি।
আর সাধারণত আঞ্চলিক গণিত উৎসবে কোনো কিছুর মান বের করতে দেয়া হয় যেমন কোণের পরিমাণ, কোনো ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল, কোনো বাহুর দৈর্ঘ্য ইত্যাদি আর জাতীয় উৎসবে এসে প্রশ্নের ভিন্নতা দেখা যায়। সেখান জ্যামিতির মাধ্যমে বিভিন্ন কিছু প্রমাণ করতে বলা হয়। বইটিতে দুই ধরণের সমস্যা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
আর বইটি একনাগাড়ে পড়ে শেষ করে ফেলার নয়। ধীরে ধীরে হয়তোবা বছর ধরে অনুশীলন করলে বইটা সম্পূর্ণরূপে অনুশীলন করা সম্ভব হবে।
তাই বইটি সম্পর্কে বলতে হয় বইটি “পড়ো, পড়ো, পড়ো” সাথে সাথে খাতায় চিত্র “আঁকো, আঁকো, আঁকো” মানে জ্যামিতি “করো, করো, করো”
যারা গণিত অলিম্পিয়াড করে আর যারা করে না তাদের সবার জন্য এটা পাঠ্য।